কাশীপুরে বিজেপি যুব মোর্চার রহস্যমৃত্যুতে তীব্র উত্তেজনা

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : শুক্রবার সকালে কাশীপুরে বিজেপি নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল। উত্তরবঙ্গ সফর শেষ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কলকাতায় ফেরার কয়েক ঘণ্টা আগেই এই ঘটনা গোটা রাজ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি একে অপরকে দোষারোপ করছে।

বিজেপির দাবি, তৃণমূলী কায়দায় খুন করা হয়েছে তাদের কর্মীকে। উত্তর কলকাতার কাশীপুরে নিজের বাড়ি থেকে কিছু দূরেই রেল কোয়ার্টারের এক পরিত্যক্ত ঘর থেকে বিজেপি যুবমোর্চার নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সূত্রের খবর, কলকাতায় অমিত শাহকে স্বাগত জানাতে ওই যুবনেতার নেতৃত্বে ২০০ বাইকের একটি র‍্যালি হওয়ার কথা ছিল। অর্জুন কলকাতা পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে দলের কাজকর্ম দেখাশোনা করতেন।

আরও পড়ুন – মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগেই ঝাড়গ্রামের এসপি বদল

এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে দেহ উদ্ধার করতে গেলে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়ে চিৎপুর থানার পুলিশ। শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে বচসা। বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করে অবশেষে ময়না তদন্তের জন্য দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই নিখোঁজ ছিলেন অর্জুন। রাতে থানায় গিয়ে অর্জুনের নিখোঁজ হওয়ার কথা জানালেও গা করেনি পুলিশ।বিধানসভা ভোটের সময় থেকেই তৃণমূল হুমকি দিচ্ছিল অর্জুনকে। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই অর্জুনকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়ে গিয়েছে। সিবিআই তদন্তের দাবিও জানিয়েছে মৃতের পরিবার। গোটা ঘটনা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে রাজনৈতিক তরজা।

আরও পড়ুন – অমিত শাহকে বেশি করে দই, মিষ্টি খাওয়ানোর পরামর্শ সৌরভকে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান উত্তর কলকাতা জেলা বিজেপির সভাপতি কল্যাণ চৌবে। বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার এই মৃত্যুর ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। এই ঘটনায় বিজেপির দিকেই পাল্টা আঙুল তুলেছে তৃণমূল। রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ টুইট করে একে বিজেপির বিক্ষুব্ধ শিবিরের কাজ বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আসলে বিজেপির হাতে কোনও ইস্যু নেই। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের মধ্যে এই ধরণের ঘটনা ঘটিয়ে নাটক করার সুযোগও থাকছে। তাই এই মৃত্যু আত্মহত্যা নাকি আসলে নিজেদের বিক্ষুব্ধ শিবিরের কাউকে শেষ করে ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা? ওদেরই সুপরিকল্পিত চিত্রনাট্য নয় তো? জনবিচ্ছিন্ন সরীসৃপেরা প্রচার আর কুৎসার জন্য আর কত নিচে নামবে? তদন্ত হোক। প্রকৃত সত্য উঠে আসুক। তদন্তের আগেই খুন না আত্মহত্যা, তা বলে দেওয়া ঠিক নয়। পরিকল্পিতভাবেই এই ঘটনায় তৃণমূলের নাম জাড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।’