দেশের খবর
দুর্দিনে সারা বিশ্বকে খাওয়ানোর সামর্থ্য রয়েছে ভারতের: মোদি

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের দু’মাস অতিক্রান্ত। কোনও ভাবেই থামানো যাচ্ছে না পশ্চিমী দুনিয়ার এই দুই মহা শক্তিশালী দেশের যুদ্ধের রেশ। দিন যত যাচ্ছে ততই যেন যুদ্ধের ঝাঁঝ বাড়িয়ে তুলছে রাশিয়া। প্রতিদ্বন্ধী ইউক্রেন তথা গোটা বিশ্বের কাছে মাথা নত করতে নারাজ পুতিন।
আর এই দুই দেশের যুদ্ধে শুধুমাত্র যে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের জনজীবন ব্যাপক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে তা কিন্তু নয়। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে বিশ্ববাজারে। তলানিতে ঠেকেছে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। দিন-দিন বাড়ছে প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। যদিও গোটা বিশ্বের এমন দুর্দিনে সবার পাশে থাকার বার্তা দিয়ে বড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী Narendra Modi।
সম্প্রতি তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে জানিয়েছিলেন, ভারতে খাদ্যপণ্যের অভাব নেই। দুর্দিনে সারা বিশ্বের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদেরকে খাওয়ানোর যথেষ্ট সামর্থ্য এখন ভারতের আছে। যদি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা অনুমতি দেয়, তবে ভারত আগামীকাল থেকেই বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের জোগান দিতে প্রস্তুত আছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জম্মু কাশ্মীরে এনকাউন্টার: সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ নেতা
এদিকে Russia-Ukraine যুদ্ধের আবহে সারা বিশ্বে খাদ্যশস্যের দাম গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ গম রফতানিকারক দেশগুলোর অন্যতম ইউক্রেইন ও রাশিয়া। এই দুই দেশ মিলে বিশ্ববাজারে এক-তৃতীয়াংশ গমের যোগান দেয়। এছাড়াও এই দুই দেশ বিশ্বজুড়ে ৫৫ শতাংশ সূর্যমূখী তেল এবং ১৭ শতাংশ ভুট্টা ও বার্লি রফতানি করে। রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (ইউএনএফএও) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দুই দেশ মিলে এবছর এক কোটি ৪০ লাখ টন গম এবং এক কোটি ৬০ লাখ টন ভুট্টা বিশ্ববাজারে রফতানি করবে বলে আশা করা হয়েছিল।
ইউএনএফএও-র অর্থনীতিবীদ উপালি গালকেতি বলেন, ”ওই জোগানে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে এবং রাশিয়ার উপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার অর্থ সমীকরণ থেকে এইসব রফতানি বাদ দিতে হবে। এক্ষেত্রে ভারত তাদের রফতানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে পারে, বিশেষ করে তাদের হাতে যখন পর্যাপ্ত গম মজুত আছে।”
আরও পড়ুন: পশুখাদ্য মামলায় বড় স্বস্তি! জামিন পেলেন লালু
শুধু তাই নয়, ভারত হল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম ও চাল রফতানিকারক দেশ। বিশ্বজুড়ে মানুষের প্রধান দুটি খাদ্য গম এবং চাল। আর এই দুটি জিনিসের শস্যের ভাণ্ডার রয়েছে ভারতের হাতেই। এছাড়াও এপ্রিলের শুরুতেই ভারত সরকার সাত কোটি ৪০ লাখ টন করে গম এবং চাল মজুত করেছে।