খেলা-ধূলা
বছরের শুরুতেই জোহানেসবার্গে মুখ থুবড়ে পড়ল ভারত, ভরসা এখন বোলাররাই

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: জয় দিয়ে বছর শেষ করলেও নতুন বছরের শুরুটা আপাতত ভালো হল না। পয়া মাঠ জোহানেসবার্গে ২০০ রান তুলতে গিয়েই মুখ থুবড়ে পড়ল ভারতীয় ব্যাটিং অর্ডার। কোমরে চোটের কারণে অধিনায়ক বিরাট কোহলির ছিটকে যাওয়াটা ম্যাচ শুরুর আগেই ভারতীয় শিবিরকে বড় ধাক্কা দিয়েছিল। তাই প্রথম একাদশে একটাই পরিবর্তন হয়েছিল।
বিরাটের জায়গায় দলে এসেছিলেন হনুমা বিহারী। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক কেএল রাহুল ও মায়াঙ্ক আগরওয়াল শুরুটা ভালোই করেছিলেন। প্রথম এক ঘণ্টায় কোনও উইকেট পড়েনি। কিন্তু ওপেনিং জুটিতে বড় রান উঠল না। দলীয় ৩৬ রানের মাথায় মায়াঙ্ক ২৬ রান করে মার্কো জেনসেনের শিকার হতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ভারতীয় মিডল অর্ডার। পর পর দুই বলে চেতেশ্বর পুজারা (৩) ও অজিঙ্কা রাহানেকে (০) ফিরিয়ে দেন ডুয়ান ওলিভিয়ের। প্রোটিয়া পেসারের লাফিয়ে ওঠা বলে ব্যাট ঠেকিয়ে পয়েন্টে বাভুমার হাতে জমা পড়লেন পুজারা। আর অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে ফিরলেন রাহানে। এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় ক্ষুব্ধ সুনীল গাভাস্কার তো ধারাভাষ্যের মাঝেই বলে দিলেন, টেস্ট কেরিয়ার বাঁচাতে আর হয়তো একটাই ইনিংস পাবেন পুজারা ও রাহানে।
মানে পরের ইনিংসে রান না পেলে তৃতীয় টেস্টে রিজার্ভ বেঞ্চে জায়গা নিশ্চিত, এই দেওয়াল লিখনটা মনে হয় পড়ে ফেলেছেন এই দুই সবথেকে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। এরপর হনুমা বিহারী (২০) এবং ঋষভ পন্থ (১৭) বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। তবে অধিনায়ক রাহুল ১৩৩ বলে ৯ বাউন্ডারির সাহায্যে ৫০ রান করেন। একটা সময় ১৫৭ রানের মধ্যে ৭ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। মনে হচ্ছিল দুশোরও গন্ডিও টপকাবে না। কিন্তু, অশ্বিনের ৫০ বলে ৬ বাউন্ডারির সাহায্যে করা ৪৬ রান এবং বুমরার ১৪ রানের দৌলতে ২০২ রানে শেষ হয় ভারতের প্রথম ইনিংস। জেনসেন ৪টি এবং রাবাডা ও ওলিভিয়ের ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেটে ৩৫ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এইডেন মার্করামকে (৭) সামি ফিরিয়ে দিলেও ডেন এলগার ১১ ও কিগান পিটারসেন ১৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন। প্রথম ইনিংসে এখনও ১৬৭ রানে পিছিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই পরিস্থিতিতে ভারতের একমাত্র ভরসা বোলাররাই। দক্ষিণ আফ্রিকাকে দ্রুত আউট করতে পারলেই জোহানেসবার্গে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে যাবে ভারতের। আর পরিসংখ্যান বলছে জোহানেসবার্গে এখন পর্যন্ত একটি টেস্টেও হারেনি ভারত।