দেশের খবর
শীতকালে হলুদকে নিছক মশলা না বলে রোগ নিরামক প্রাকৃতিক ওষুধ বলাই ভালো
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: আমাদের রান্নার প্রতিদিনের বিভিন্ন মশলার মধ্যে হলুদ হলো অন্যতম। মোটামুটি প্রায় সকল রান্নাতেই হলুদ মশলাটি প্রয়োজন। রান্নায় হলুদ না থাকলে কেমন যেন সাদা-মাটা লাগে। তাই যেমন নুন ছাড়া কোনও রান্না হয় না, তেমনি এই হলুদের গুরুত্বও কিছু কম নয়।
কিন্তু রান্নার উপকরণ ছাড়াও হলুদের বেশ কিছু গুন আছে। যা আমাদের শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। হলুদে আছে অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরালের বৈশিষ্ট্য। যা হলুদকে প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধোকের ক্ষমতা দিয়েছে। ক্যান্সার, অ্যালজাইমা, হৃদরোগ প্রতিরোধে সক্ষম এই হলুদ। এই শীতের সময়ে হলুদের গুরুত্ব আর কিছুটা বেড়ে যায়। যেমন – শীতের সময় চা বা দুধের সাথে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে খেলে অনেক রকম শারীরিক সমস্যা যেমন সাইনাস ,বদহজম বা গাঁটে ব্যথা দূর হয়। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। শীত মানেই ঘুরতে যাওয়া, পিকনিক, পার্টি, ক্রিস্টমাস, নিউ ইয়ার। আর উৎসব মানেই প্রচুর খাওয়া-দাওয়া। না চাইলেও এই সময়ে একটু বেশি অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া হয়ে যায়। তারফলে শরীরে জমে যায় অপ্রয়োজনীয় টক্সিন। যা শরীরের পক্ষে মোটেও ভালো না।
এই হলুদ টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। সাথে সাথে লিভার ফাংশন ঠিক রাখে। হলুদে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা মানুষের শরীরকে ভিতর থেকে মজবুত রাখে। যে কোনও গরম কিছুর সাথে হলুদ খাওয়া যেতে পারে। এতে টক্সিন দূরীভূত হওয়ার সাথে সাথে ত্বকও থাকে সতেজ ও সুন্দর। প্রত্যেক ঋতু পরিবর্তনের সময় অল্প বিস্তর ফ্লুর কবলে পড়তে হয়। আর এই শীত পড়ার আগে ঠান্ডা লাগা, জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভুগতে হয় ভালোই। এই ভোগান্তির হাত থেকে বাঁচাতে পারে হলুদ। আর এর জন্যই শীতকালে হলুদের কদর একটু বেশি। নারীদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় হলুদ বিশেষ উপকারী। হলুদ বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমন দূর করে এবং গলার সমস্যা ,গলা ব্যথা দূর করে। এই শীতে তাই হলুদকে শুধু রান্নার উপকরণ না ভাবে প্রাকৃতিক ওষুধ হিসাবে কাজে লাগানোই উচিৎ।