দেশের খবর
শেষদিনের প্রচারেও বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ অভিষেকের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: শুক্রবারই ছিল কলকাতা পুরভোটের প্রচারের শেষ দিন। শেষ দিনে তৃণমূল থেকে শুরু করে বিজেপি বাম-কংগ্রেস সব দলই প্রচারে ঝড় তুলল। শুক্রবার দক্ষিণ কলকাতার ১০ ওয়ার্ডের প্রার্থীদের হয়ে বালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে রাসবিহারী হয়ে কালীঘাট মোড় পর্যন্ত রোড শো করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
রোড শো শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুক্রবার আবারও শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট করানোর আর্জি জানালেন দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে। সেই সঙ্গে জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের প্রাসঙ্গিকতা নিয়েও বড় বার্তা দিলেন। বৃহস্পতিবার পোস্তা থেকে বড়বাজার পর্যন্ত রোড শোতেও একই বার্তা দিয়েছিলেন অভিষেক। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ শুক্রবার বলেছেন, ‘গোটা দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। আজকে তৃণমূল ত্রিপুরায় ঢুকেছে, গোয়ায় গিয়েছে, মেঘালয়ে গিয়েছে। এবং আমি দায়িত্ব নিয়ে আপনাদের বলছি, এখানে সমস্ত সংবাদ মাধ্যম আছে, আগামী দুমাসের মধ্যে গোয়ায় নির্বাচন হবে। সেখানে ভোটে জিতে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গঠন করবে, নাহয় প্রধান বিরোধী দল হবে। মাঝখানে আর কিছু নেই।ত্রিপুরায় ইতিমধ্যেই আমরা প্রধান প্রতিপক্ষ হয়েছি।
তিন মাসের মধ্যে শূন্য থেকে ২৪ শতাংশ ভোট তৃণমূল পেয়েছে ত্রিপুরায়। এটা ভারতবর্ষে নজিরবিহীন। কোনও রাজনৈতিক দল এত কম সময়ে শূন্য থেকে ২৪ শতাংশে পৌঁছতে পারেনি। কিন্তু ত্রিপুরার বিজেপি সরকার পুলিশ প্রশাসন নিয়ে তৃণমূলকে ঠেকানোর চেষ্টা করছে। রোজই আমাদের নেতা ও কর্মীদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে। তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, মারধোর করা হচ্ছে, মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হচ্ছে, পার্টি অফিস জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এদিকে দেখুন কলকাতায় ২০ দিনের বেশি হয়ে গেল নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু কোনও গোলমাল নেই। একটা বিরোধীদের গায়ে হাত পড়েনি। এটাই কলকাতা, এটাই বাংলা। আসলে বাংলা পথ দেখায় গোটা ভারতবর্ষকে।
এই নির্বাচন কলকাতাকে সমগ্র ভারতবর্ষের কাছে শ্রেষ্ঠ প্রামান করার নির্বাচন।’ এদিন আবারও বিজেপি কে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অভিষেক। বলেছেন, ‘ভোটের আগে যাঁরা বড় বড় কথা বলেছিল, আট মাস পর তাঁদের টিকি খুঁজে পাওয়া যায় না। বিজেপি-র বাস ৭০-এ আটকে গিয়েছে। তৃণমূল খেলাতেও আছে, মেলাতেও আছে, আন্দোলন-উন্নয়নেও আছে। বিজেপি শুধু মিথ্যে কথা বলে। বাংলার দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। অথচ বিজেপি বলেছিল, বাংলায় নাকি দুর্গাপুজো করতেই দেওয়া হয় না। বিজেপি-র মতো দু’নম্বরি দল সারা ভারতে নেই। কালীঘাটে টালির ছাদের নীচে যে মহিলা থাকেন, সারা দেশ এখন তাঁর দিকে তাকিয়ে।
১৪৪ টা আসনে একজনই প্রার্থী, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপি-র একটা-দু’টো আবর্জনার জামানত জব্দ হবে। ২০১০ সালের কলকাতা আর এখনকার কলকাতার মধ্যে অনেক ফারাক রয়েছে। তুলনা করেই সকলে ভোট দেবেন। ভোটের দিন অনেক নাটক করতে পারে বিজেপি, সিপিএম। আপনারা সতর্ক হয়ে ভোট দেবেন।’