বাংলার খবর
রাজ্যে চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ৮০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: উপনির্বাচন অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ করতে পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন। আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য ৮০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করল কমিশন। ২৭ কোম্পানি এক সপ্তাহ আগেই রাজ্যে এসেছিল। যারা রাজ্যে এসে ইতিমধ্যেই টহলদারি শুরু করে দিয়েছে। এবার আরও ৫৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে মোতায়েন করে সুস্থভাবে নির্বাচন করতে চাইছে কমিশন।
আগামী ৩০ অক্টোবর দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দহ এবং গোসাবা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। গোসাবা এবং খড়দহ কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক করোনায় মারা যাওয়ায় উপনির্বাচন হচ্ছে। এছাড়া দিনহাটা এবং শান্তিপুর কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন বিজেপির নিশীথ প্রামানিক এবং জগন্নাথ সরকার। তাঁরা বিধায়ক পদ থেকে ইস্থফা দেওয়ায় এই দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। ভোটে যেন কোনও অপ্রীতিকর বা অশান্তির ঘটনা না ঘটে, মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দিতে পারে, সেই দিকটাই নিশ্চিত করতে চাইছে কমিশন। কোনও রকম অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হলে যথাযথ পদক্ষেপ নিতেও বলা হয়েছে। ভোট দিতে এসে মানুষ যেন যথাযথ ভাবে কোভিড বিধি মেনে চলেন, সেই দিকেও নজর রাখবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রুটমার্চ করে ভোটারদের মনোবল বারানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এছাড়া প্রত্যেক ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে কুইক রেসপন্স টিম এবং মাইক্রো অবজারভার নিয়োগ করা হবে। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। উপনির্বাচনে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাড থাকবে। ভোটারদের সচিত্র পরিচয় পত্র নিয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে আসতে হবে। ইতিমধ্যেই ভোটগ্রহণের সব রকম প্রস্তুতি কমিশন নিয়ে ফেলেছে। যে ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আগে এসে পৌঁছেছে, তার মধ্যে ৮ কোম্পানি সিআরপিএফ জাওয়ান, ৯ কোম্পানি বিএসএফ জাওয়ান, ৫ কোম্পানি এসএসবি এবং সিআইএসএফ রয়েছে ৫ কোম্পানি। গত বিধানসভা ভোটেও কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও অশান্তির এড়ানো সম্ভব হয়নি। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মামলা গড়িয়েছে হাইকোর্ট পর্যন্ত। এবারও উপনির্বাচন কতটা শান্তিপূর্ণ হবে, তা ৩০ অক্টোবরই বোঝা যাবে।