বাংলার খবর
কেতুগ্রামে গৃহবধূর হাত কেটে নেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার শ্বশুর, শাশুড়ি

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: কেতুগ্রামে সরকারি হাসপাতালে নার্সের চাকরি পাওয়া গৃহবধূ রেণু খাতুনের হাত কেটে নেওয়ার ঘটনায় তাঁর শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার রাতে কেতুগ্রামের চাকটা বাসস্ট্যান্ড থেকে শ্বশুর সিরাজ শেখ ও শাশুড়ি মেহেরনিকা বিবিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালেই ধৃতদের কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ধৃত দু’জনকেই ৭ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। তবে ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রেণুর স্বামী সফিরুল শেখ ঘটনার পর থেকেই পলাতক। এখনও তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। তাঁর বাবা-মাকে জিজ্ঞাসা করে সফিরুলের হদিশ পাওয়া যাবে বলেই মনে করছে পুলিশ।
এখনও দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন রেণু। তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে তাঁর কাটা কব্জি জোড়া লাগানো আর যাবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের নভেম্বরে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা পেশায় মুদির দোকানের মালিক সফিরুলের সঙ্গে বিয়ে হয় রেণুর। বর্তমানে তিনি দুর্গাপুরের যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিয়ের পর সেই হাসপাতালেই নার্সের কাজ করতেন। এরপর আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ থেকে নার্সিং ট্রেনিং নেন তিনি। তারপরই সরকারি হাসপাতালে নার্সের চাকরি পান রেণু। স্ত্রী সরকারি চাকরি পাওয়ার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেন সরিফুল। তাঁর ধারনা হয়, সরকারি চাকরি পাওয়ায় তাঁকে ছেড়ে চলে যেতে পারেন রেণু। তাই কোনভাবেই যাতে চাকরিতে যোগ দিতে না পারে, সেই জন্য দুই বন্ধুকে নিয়ে গত শনিবার রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রেণুর কব্জি থেকে ডান হাত কেটে বাদ দিয়ে দেন সরিফুল।
হাত কাটা পড়লেও রেণুর চাকরি পেতে কোনও সমস্যা হবে না বলেই আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। গোটা বিষয়টি সহমর্মিতার সঙ্গে বিবেচনা করার জন্য রাজ্য সরকারের কাছেও আবেদন করেছেন তিনি। রেণু উপর আগেও অত্যাচার করা হত কিনা, হাতের কব্জি কেটে নেওয়ার কী কারণ এবং মূল অভিযুক্ত তাঁর স্বামীর হদিশ পেতেই, ধৃত শ্বশুর ও শাশুড়িকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।