আন্তর্জাতিক
অবশেষে ব্রিটেনে বরিসের ‘ব্রেক্সিট’! প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা জনসনের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: অবশেষে ব্রিটেনে বরিসের ‘ব্রেক্সিট’! লাগাতার মন্ত্রী ও আধিকারিকদের পদত্যাগে বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনাটা জোরালো হচ্ছিল। অবশেষে সেই জল্পোনাই সত্যি হল। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বরিস জনসন। দলের সতীর্থদের দাবি মেনেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন ৫৮ বছর বয়সী জনসন। আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করলেও আপাতত তত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন জনসন। আগামী অক্টোবরে কনজারভেটিভ পার্টির সম্মেলনের পরই প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়বেন তিনি।
বুধবার রাত পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে নারাজ ছিলেন জনসন। কিন্তু বৃহস্পতিবার নবনিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী মিশেল ডোনেলান পদত্যাগ করেন। অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনকের ইস্তফার পর যাঁকে সেই পদে বসানো হয়, তিনি-ও বরিসের ইস্তফার দাবি করতে থাকেন। এমনকি ঋষি সুনাকের পর নবনিযুক্ত অর্থমন্ত্রী নাদিম জাহাউই প্রধানমন্ত্রীকে সরে দাঁড়ানোর দাবি তোলেন। বিভিন্ন স্তরের মন্ত্রী ও আধিকারিক মিলিয়ে প্রায় ৫০ জনের ইস্তফার পর অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জনসন।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক এবং সাজিদ জাভিদ। বৃটেনের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষির আরও একটি পরিচয় হল, তিনি ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির জামাই। এছাড়াও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন প্রাক্তন লেভেলিং আপ সেক্রেটারি মাইকেল গোভ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি মোরডন্ট, প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী লিজ ট্রুস, ফরেন অ্যাফেয়ার্স চেয়ারম্যান টম টুগেনঢাট, প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস, বর্তমান অর্থমন্ত্রী নাদিম জাহাউই, মন্ত্রী জেরেমি হান্ট ও সাজিদ জাভিদ।
বৃহস্পতিবার ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে দাঁড়িয়ে শেষবারের মতো বক্তৃতা দিতে গিয়ে বরিস জনসন বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পদে থেকে যা যা কাজ করতে পেরেছি, তার জন্য আমি গর্বিত। ব্রেক্সিট, কোভিডের সময় সরকার চালানো এবং রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার পরবর্তী পরিস্থিতি সাফল্যের সঙ্গে সামলেছি। এটা এখন আমার কাছে স্পষ্ট যে আমার এমপি-রা আমাকে দল বা দেশের নেতা হিসেবে দেখতে চাইছে না।’