Uncategorized
ধূমপানের অভ্যাস থাকলে সুস্থ থাকতে খেতে হবে এই পাঁচটি খাবার

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ‘ধূম্ৰপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক’ এই কথাটি প্রচলিত একটি শব্দ। এই ধূম্ৰপানও বহু যুগ ধরে চলে আসা এক অভ্যাস। এই অভ্যাস শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে। তাও নিঃশব্দে সেটা জেনেও মানুষ এই অভ্যাস ত্যাগ করতে পারেনি। আবার অনেকে একদিনের সিদ্ধান্তেই শুধু মাত্র মনের জোরে ছেড়ে দেন এই ভয়ঙ্কর নেশা।
চিকিৎসকদের একাংশ তো মনে করেন মদ্যপানের থেকেও ক্ষতিকর এই ধূম্ৰপান। তবে মদ্যপানও যে খুব ভালো অভ্যাস, তা কিন্তু একেবারেই নয়। তবে ওই মন্দের ভালো আর কী, সেটা বলাই যেতে পারে। আসলে কোনও নেশাই সঠিক হতে পারে না। অর্থাৎ কোনও বিষয়ের ওপর মাত্রাতিরিক্ত আসক্তিকেই নেশা বলা যেতে পারে, আর সেটা মোটেও ভালো নয়। কিন্তু তাও অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না এই ধূম্ৰপানকে ‘না’ বলাটা। তাই নিজের এই ক্ষতির ক্ষতিপূরণ হিসাবে শরীরকে দিতে হবে কিছু খাবার। যা খেলে কিছুটা সুস্থ থাকা সম্ভব ধূম্ৰপান করলেও। আসুন জেনে নিই, সেই কয়েকটি খাবারের নাম –
আদা-
আমরা সকলেই জানি ধূমপানের ফলে আমাদের রক্তে জমে নিকোটিন। আর তার ফলে রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। আর আদা রক্তে নিকোটিনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। কাঁচা আদা ফুসফুসের নিকোটিন- স্তর পরিষ্কার করে। এই কারণে খেতে হবে প্রতিদিন কাঁচা আদা। এটি নেশার প্রতি ঝোঁকও কমায়।
গাজর –
ভিটামিন এ ও সি এর কমতি হয়ে যায় ধূমপানের ফলে। কিন্তু প্রতিদিন গাজর খেলে ভিটামিন এ ও সি এর সঙ্গে সঙ্গে ভিটামিন কে -এর মাত্রাও সঠিক রাখে।
লেবু –
আমরা সবাই জানি যে লেবু, তা কমলালেবু হোক বা মুসাম্বি হোক কিংবা পাতি লেবুই হোক, এই জাতীয় ফলে থাকে প্রচুর ভিটামিন সি। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ধূমপানের ফলে শরীরে জমা নিকোটিন বহুদিন পর্যন্ত মানব শরীরে থাকে। এর ফলে মানুষ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারায়। লোমকূপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় যদি লেবু জাতীয় ফল রাখা যায়, তাহলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ার সাথে সাথে ত্বকের কোষের ক্ষতিকেও রুখে দেয়।
বাদাম –
ধূমপানের ফলে রক্তনালী হয়ে পরে সংকুচিত। কিন্তু বাদামে থাকা ভিটামিন ‘ই’ রক্ত সঞ্চালনকে রাখে স্বাভাবিক এবং এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
বেদানা –
ধূমপানের ফলে বৃদ্ধি পায় হৃদস্পন্দন। বাড়ে রক্তচাপও। যার ফলে অক্সিজেনের মাত্রা যায় কমে। কিন্তু বেদনা খেলে রক্তের পরিমান বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে রক্ত সঞ্চালনও হয় ভালো।