বাংলার খবর
চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড় ধরা, কিন্তু যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই সন্ধ্যে হয়। চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়লেন অভিনেতা

বেঙ্গল এক্সপ্রেসঃ টলি ইন্ডাস্ট্রিতে খলনায়ক বা ভিলেনের কথা বললে সবার আগে আমাদের চোখের সামনে বেশ কয়েকজনের ছবি ভেসে ওঠে। তাদের মধ্যে এমন একজন খলনায়ক যে অন্য খলনায়কদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তার অভিনয় জীবনের জন্যই পারিবারিক জীবনেও সবার কাছে ঘৃণার পাত্র হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি।
বাচ্চারা তাকে দেখলে ভয় পায়। তার নাম হল বিপ্লব চ্যাটার্জি। চলুন বিপ্লব চ্যাটার্জির নিজের জীবনের ওঠা পড়া সম্পর্কে তিনি কি বলেন। আগাগোড়া থেকে বিপ্লব চ্যাটার্জি, ঠোটকাটা বা স্পষ্টবাদী তিনি কখনো কাউকে তোয়াক্কা করেন না। সত্যের পথে চলতে তিনি ভয় পান না। আর ঠিক এই কারণে গোটা টলি ইন্ডাস্ট্রি তার থেকে একটু দূরে দূরেই থাকে বলা যায় না কখন কার হাড়ি হাটে ভেঙে যায়। অনেকবার নিজের বিতর্কের কারণে লাইম লাইটে উঠে এসেছেন তিনি। তিনি জানান যে ছোটবেলায় তিনি ছিলেন একজন খুব ছোটখাটো পকেটমার। তিনি ছোটবেলায় পকেটমারের কাজ করতেন।
আরও পড়ুন- ব্যবসায় নাই কোনরকম ধারণা, তারপরেও ডুবতে ডুবতে নয় হাজার কোটি টাকার মালিক এই ব্যক্তি
এই কথা বলেই সবাইকে চমকে দেন তিনি। আসলে বিষয়টি হয়েছে যে, বিপ্লব চ্যাটার্জী অপুর সংসার নামক একটি শোতে গিয়েছিলেন আর সেখানেই টকশোতে কথা বলার সময় নিজের অতীত জীবন সম্পর্কে তুলে ধরেছিলেন সবার সামনে খলনায়ক বিপ্লব চ্যাটার্জী। এই কথা শুনে উপস্থিত অডিয়েন্স সবাই অবাক হয়ে পড়েছিল। তাকে দেখতে গম্ভীর হলেও তিনি বেজাই খুশি মেজাজীর লোক। তিনি জানান যে ছোটবেলায় তিনি একবার স্কুল টিচারের পকেটমারি করতে গিয়ে ধরা পড়েন।
এই গল্পটা তিনি ভালোই রসিয়ে রসিয়ে মজার করে বলেছেন। ঘটনাটি ঘটেছিল বিপ্লব চ্যাটার্জি যখন ক্লাস সেভেনে পড়তেন তখন। একদিন ক্লাসে নতুন একজন জিওগ্রাফি টিচার ক্লাস নিতে এসেছিলেন। আর তার আসার পর পরেই পুরো ক্লাস রুম চন্দনের গন্ধে ভরে যায় আর ঠিক সেই কারণে, ক্লাসের স্টুডেন্টরা মনে করেন যে স্যার হয়তো সাথে করে চন্দন কাঠ নিয়ে এসেছেন। তা না হলে এত গন্ধ কিসের। আর সে চন্দন কাঠ সন্ধান করবার জন্য বিপ্লব চ্যাটার্জী খুদ স্যারের পকেটে হাত ঢুকিয়ে দেন। হাত ঢোকানোর পরেই যত বিপত্তি ধরা পড়ে যান আর এই কথা শুনেই উপস্থিত সবাই হো হো করে হেসে ওঠে।