বাংলার খবর
‘ঘুটে পাচারের প্রমাণ দিতে পারলে ফাঁসিতে উঠব’, পাল্টা চ্যালেঞ্জ সওকতের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: কয়লা পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের পাশাপাশি ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লাকেও শুক্রবার সকাল ১১টায় নিজাম প্যালেস জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল সিবিআই। অনুব্রতর পাশাপাশি তিনিও শুক্রবার হাজিরা দিতে আসেননি। আইনজীবী মারফত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে চিঠি দিয়ে ১৫ দিনের জন্য সময় চেয়ে নিয়েছিলেন সওকত। তিনি জানিয়েছেন, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাজে তিনি গত ১৫ দিন ব্যস্ত থাকবেন। তাই তিনি সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে পারবেন না।
এরপরই শনিবার সকালে বাখরাহাট পঞ্চায়েতের কর্মী সভায় উপস্থিত হয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন এই তৃণমূল নেতা। সওকত বলেছেন, ‘কয়লা পাচার তো দূরের কথা, কোথাও ঘুটে পাচারের প্রমাণ দিতে পারলে হাসি মুখেই ফাঁসির মঞ্চে উঠে যাব।’ এরপরই নরেন্দ্র মোদি সরকার ও নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করে সওকত বলেছেন, ‘দেশের গরীব মানুষকে যারা প্রতিনিয়ত ঠকাচ্ছে, অর্থ তছরুপ করছে, তাদের সিবিআই কেন ডাকছে না? তারা তো তৃণমূল করে না। তাই ডাকা হচ্ছে না। আমাদের দল থেকেও এক বিশ্বাসঘাতক মির্জাফর ওই দলে চলে গিয়েছে। বাবার কাছে শুধু বলছে, তৃণমূলের কিছু নেতাকে টাইট দিতে হবে বাবা। তার জন্য তোমার মন্ত্র প্রয়োগ কর। মন্ত্রটা কী! ইডি-সিবিআই কে কাজে লাগাও। আর বাবাও সেই শুনে কথায় কথায় রাজ্যের পিছনে ইডি-সিবিআই কে লাগিয়ে দিচ্ছে। আমি এখানে ইডি, সিবিআই-এর কোনও দোষ দেখছি না। কারণ তাদেরও উপর তলার নির্দেশ মতো চলতে হয়।’ সওকতের এই বক্তব্য শুনে জেলা বিজেপি নেতৃত্বের প্রশ্ন, কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যদি যুক্ত নাই থাকেন সওকত, তাহলে সিবিআই এর কাছে হাজিরা দিতে ভয় পাচ্ছেন কেন তিনি? কেন হাজিরা এরিয়ে যেতে ১৫ দিন সময় চাইলেন? যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা।