বাংলার খবর
“আসানসোলের জন্য কাজ করব”, বললেন বালিগঞ্জের বিধায়ক

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বালিগঞ্জের বিধায়ক হিসেবে শপথ নিলেও এখনও নিজের পুরনো সংসদীয় কেন্দ্র আসানসোলকে ভুলতে পারছেন না বাবুল সুপ্রিয়। বুধবার বিধানসভায় শপথ নেওয়ার পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বাবুল জানিয়ে দিলেন তিনি এখনও আসানসোলের একজন। তাঁর সঙ্গেই উপনির্বাচনে আসানসোল কেন্দ্র থেকে জয়ী তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আসানসোলের উন্নয়ন যজ্ঞে সব সময় শামিল থাকবেন। শুধু তাই নয়, আসানসোলে ৭ জন বিধায়ক ও একজন সাংসদ নয়, আটজন বিধায়ক এবং একজন সাংসদ বলেও দাবি করেছেন তিনি। নিজেকে আসানসোলেরও বিধায়ক বলতে চেয়েছেন তিনি।
বাবুল বলেছেন, ‘আসানসোলের জন্য অনেক কাজ করেছি। সেইজন্য দ্বিতীয়বার আমি তিন গুণ বেশি ভোটে জিতেছি। যে আমাকে হারানোর জন্য অনেক পরিশ্রম করেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক কিছু লিখেছে আমি তারও বিধায়ক, আর যে আমাকে জেতানোর জন্য প্রাণপাত করেছে তারও বিধায়ক আমি। আসানসোলের মানুষের অভিমান ছিল আমি পদ কেন ছেড়ে দিলাম বলে। কিন্তু শত্রুঘ্ন সিনহার বিরাট জয়ে তা পোয়েটিক জাস্টিস পেয়েছে। যা যা কাজ আমি করেছিলাম, সেগুলো হবে। শুধু সই বদলেছে, মানুষ বদলেছে। একজন ডায়নামিক মানুষ এসেছেন। আমরা মিলেমিশে কাজ করতে পারব। ব্রিজ, হসপিটাল তৈরি হচ্ছে। শত্রুঘ্নজির সঙ্গে একসঙ্গে যাব। ভোটে জেতার পর উনি আমাকে বলেছিলেন যেহেতু আমি আট বছর আসানসোলের সংসদ ছিলাম, তাই হাতের তালুর মতো গোটা এলাকা চিনি। উনি আমার সাহায্য চেয়েছেন। আমি সব সময় প্রস্তুত। আমি কাজ করেছিলাম বলে মানুষ আমাকে ওখানে ভোট দিয়েছিল। প্রথম বছরের থেকে আমি দ্বিতীয়বার তিনগুণ বেশি ভোটে জিতে ছিলাম। মানুষ ওখানে বিজেপিকে দেখে ভোট দেয়নি। আমি দুই লক্ষ ভোটে জিতে ছিলাম। এবার সেখানে বিজেপি ৩ লক্ষ ভোটে হেরে গিয়েছে। অর্থাৎ পাঁচ লাখ ভোট সুইং হয়েছে। একদিন আগেও আমি পাণ্ডবেশ্বর গিয়ে বলে এসেছি, আসানসোলে ৭ জন বিধায়ক ও একজন সাংসদ বলবেন না। ৮ জন বিধায়ক এবং একজন সাংসদ বলবেন। আমাকেও যোগ করে নিতে বলেছে।’
কিছুদিন আগেই ঘুষ নিয়ে টেন্ডার পাস করানোর অভিযোগে এফআইআর-এ নাম উঠেছে বাবুল সুপ্রিয় প্রাক্তন আপ্ত সহায়কের। এদিন সেই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কিছুই জানেন না বলেছেন বাবুল। বলেছেন, ‘যার কথা বলা হচ্ছে তিনি সাড়ে চার বছর আমার আত্মসহায়ক নেই। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি থেকে শুরু করে নিতিশ কুমার, তিনি সকলের সঙ্গে কাজ করেছেন। মাত্র তিনদিন আগে এফআইআর হয়েছে। কার ব্যাংকে কোথায় টাকা গেল, কিছুই জানিনা। আমার ব্যাঙ্কে আসেনি। তাই নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রীসভার প্রাক্তন সদস্য বাবুল সুপ্রিয় বলে জোর করে কেউ আমার নাম জড়িয়ে দেয়, তাহলে আমার কিছুই বলার নেই। আমি দল ছাড়ার পর বিজেপি সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছিল, আমার বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ দেখানো যাবেনা। বাঙালি হিসেবে মোদিজির ক্যাবিনেটে ৮ বছর মন্ত্রী থাকার পর তার পদোন্নতি হতে পারে না। আমার কোনও খামতি, ব্যর্থতা আপনারা বের করে দেখান।’