খেলা-ধূলা
‘প্রচুর পরিশ্রম করেছি বোঝাতেই খেতাব জিততে চেয়েছিলাম’, বলছেন হার্দিক
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: আবির্ভাবেই বাজিমাত। অভিষেকেই রাজস্থান রয়্যালসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ১৫তম আইপিএলের খেতাব জিতে নিয়েছে গুজরাত টাইটান্স। আইপিএল যেমন পেয়েছে নতুন চ্যাম্পিয়ন, তেমনই অধিনায়ক হিসেবেও অভিষেকেই খেতাব জিতলেন হার্দিক পান্ডিয়া। সেইসঙ্গে ১৩ বছর পর রাজস্থানের দ্বিতীয়বার খেতাব জয়ের স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল।
রবিবার আহমেদাবাদে ঘরের মাঠ নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন হার্দিক। প্রথমে বল হাতে ৩ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতেও ৩০ বলে ৩৪ রান করে গুজরাতের খেতাব জয়ের সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করেন। জস বাটলার (৩৯), সঞ্জু স্যামসন (১৪), সিমরান হেটমায়ারকে (১১) ফিরিয়ে দিয়ে রাজস্থানের বড় রান তোলার রাস্তাটাই বন্ধ করে দিয়েছিলেন হার্দিক। শেষে ১৩০ রানেই থেমে যায় রাজস্থানের ইনিংস। এ বারের আইপিএলে খুব বেশি বল করেননি হার্দিক। তবে জানিয়েছিলেন, বল করার জন্য তিনি প্রস্তুত। আগামী অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় টি-২০ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে বেশি বল করছেন না। তবে রবিবারের আইপিএল মেগা ফাইনালে বল করে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সেরে নিলেন হার্দিক, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
অথচ শেষের কয়েকটা বছর মোটেও খুব একটা ভালো কাটেনি হার্দিকের। বৈদ্যুতিন চ্যানেলে নারীদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার জন্য জাতীয় দল থেকে নির্বাসিত হতে হয়েছিল তাঁকে। সেই নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। পরে ক্ষমা চেয়ে নির্বাসন কাটিয়ে দলে ফেরার পর এর চোটের কবলে পড়েন। তারপরই সার্বিয়ান মডেল নাতাশার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক। এবং বিয়ের আগেই সন্তানের বাবা হওয়ার নিয়েও কম সমালোচনা ও কটাক্ষ শুনতে হয়নি তাঁকে। যে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে দিনের পর দিন ভালো পারফরমেন্স করেছেন, সেই মুম্বই তাঁকে দলে রাখেনি। গুজরাত তাঁকে অধিনায়ক করাতেও কম কটাক্ষ সহ্য করতে হয়নি। অবশেষে রবিবার আহমেদাবাদে যেন সেই সমস্ত সমালোচনার জবাব দিলেন হার্দিক।
খেতাব জয়ের পর হার্দিক বলেছেন, ‘ট্রফিটা জিতে আমরা বোঝাতে চেয়েছিলাম, আমরা সত্যিই সফল হওয়ার জন্য প্রচুর পরিশ্রম করেছি। আর ব্যক্তিগত দিক থেকে বলতে গেল, নিজের বোলিং দেখে মনে হচ্ছে আমি হয়তো সেরাটা ফাইনালের জন্যই তুলে রেখেছিলাম। যখন বল করছিলাম মনে হয়েছিল, বলে বাউন্স যোগ করলে উইকেট পাওয়ার সুযোগ থাকবে। সঞ্জু স্যামসনের উইকেটটা তারই প্রমাণ। তবে আমি ব্যাটে রান করতে খুবই ভালোবাসি। দিনের শেষে আমার কাছে দলের সাফল্যটাই আসল। নিজের খারাপ দিনেও দল যদি জেতে তাহলে আমি খুব খুশি হই। আমি চিরকালই এমনই একজন খেলোয়াড়।’