বাংলার খবর
‘আমিও দু’বার ওদের মাথা হেঁট করে দিয়েছি’, কেন্দ্র ও শুভেন্দুকে তুলোধোনা অভিষেকের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: শুভেন্দু অধিকারীর জেলায় দাঁড়িয়েই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এবং বিজেপি সরকারকে রীতিমতো তুলোধোনা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম হলদিয়ায় সভা করলেন অভিষেক। শনিবার হলদিয়ার রানীচকের সংহতি ময়দানে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-এর ডাকা শ্রমিক মাবেশের মঞ্চ থেকেই অভিষেক এজেন্সি নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন। ইডি-সিবিআই নিয়ে বিজেপি ও নাম না করে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তিনি। অভিষেক এদিন বলেছেন, ‘আমার পিছনে ইডি-সিবিআই লাগিয়ে দিয়েছে। আমাকে দিল্লিতে দু-দু’বার ডেকে পাঠিয়ে আমার মাথা হেঁট করার চেষ্টা করেছে। আর আমিও তোমার দু’বার মাথা হেঁট করে দিয়েছি। বিজেপির দু’জন সাংসদ তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। এখন আমরা দরজা খুললে ওদের পরো দলটাই উঠে যাবে।’
উল্লেখ্য, গরু ও কয়লা পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই অভিষেক ও তাঁর স্ত্রীর রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে তলব করেছিল ইডি। রুজিরা হাজিরা না দিলেও অভিষেক দিল্লিতে গিয়ে দু’বার হাজিরা দিয়ে এসেছেন। দিল্লির বদলে তাঁদের কলকাতায় এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক, এই দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। সম্প্রতি দেশের সর্বোচ্চ আদালত অভিষেকের সেই আবেদন মেনে ইডি-কে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছে।
যাঁরা দলে থেকে দলের ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন এদিনের সভাকে তাদেরও রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেছেন, ‘আজ থেকে আত্মিক সম্পর্ক তৈরি হল সবার সঙ্গে। অনুগামী সেজে কারা আমাদের দলের বারোটা বাজাচ্ছে সেটা জানি। এই সভাতেও তারা আছে। সভায় আসার সময়ও ৪-৫ জনকে চিহ্নিত করেছি। আমার কাছে সব খবর থাকে।’
এরপরই নাম না করে শুভেন্দুকে আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, ‘একজন নিজেকে জেলার সর্বেসর্বা ভাবেন। একটা লোক আপনাদের বারোটা বাজিয়েছে ১১ বছর। তৃণমূলে থেকে শত্রুপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। আমিই বলেছি। বাংলায় হেরে দিল্লিতে ডেকে পাঠাচ্ছে। ইডি-সিবিআই থেকে নিজের পিঠ বাঁচাতে মেদিনীপুরকে দিল্লির কাছে বিক্রি করছে। ইডি-সিবিআইয়ের ভয়ে পালাচ্ছে। পদলেহন করে বাঁচার চেষ্টা করছে।’ তারপরই তিনি বার্তা দেন, ‘কোনও দাদার অনুগামী হওয়া চলবে না। নেত্রীর অনুগামী হতে হবে। খেটে খাওয়া মানুষ, শ্রমিকদের অনুগামী হতে হবে। আমিও সৈনিক, আপনিও সৈনিক। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামিকাল থেকে কাজে নামুন। শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে পথে নামুন।’