দেশের খবর
স্ত্রী টাকার মেশিন নয়, বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় রায় হাইকোর্টের
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: স্ত্রী ‘ATM’ নয়। যখন খুশি টাকা চাইবেন, যা ইচ্ছে তাই করবেন। নিজের বিয়ে করা স্ত্রীকে টাকার গাছ ভাবা বা এটিএম মেশিনের মতো ব্যবহার করা আদতে মানসিক অত্যাচারের সমান। বুধবার এক দম্পতির করা ডিভোর্স সংক্রান্ত মামলায় এমনই কথা শোনাল কর্ণাটক হাইকোর্ট।
জানা গিয়েছে, বুধবার বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত ওই মামলায় আদালত শুনিয়েছে যে, স্ত্রীর কাছে প্রতিনিয়ত টাকা চাওয়া বা তাঁর সঙ্গে এটিএম মেশিনের মতো ব্যবকার করা আসলে মানসিক নির্যাতন ছাড়া আর কিছুই নয়। অবিলম্বে এই ধরনের নিগ্রহ বন্ধ হোক বলেও জানিয়েছে হাইকোর্ট।
এই বিষয়ে আরও জানা গিয়েছে, কর্ণাটক রাজ্যেরই এক মহিলা সেখানকার নিম্ন আদালতে স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন জানিয়ে মামলা। মামলা করার সময় ওই মহিলার যুক্তি ছিল যে, তাঁর স্বামীর সঙ্গে তাঁর কোনও মানসিক সম্পর্ক না থাকলেও তাঁর স্বামী প্রতিসময় তাঁর সঙ্গে এটিএম মেশিনের মত আচরণ করেন। এমনকি এই করে তাঁর থেকে প্রায় ৬০ লাখ টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে সে। এর জন্য তিনি বিবাহ বন্ধন থেকে মুক্তি চেয়ে আদালতে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ‘দলিত বলে সম্মান দেওয়া হয় না’, শাহকে চিঠি লিখে ইস্তফা যোগির মন্ত্রীর
এদিকে নিম্ন আদালতে ওই মহিলার যুক্তি খারিজ হয়ে যায়। তবুও হাল ছাড়েননি তিনি। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরোধিতা করে ওই মহিলা হাইকোর্টে যান। সেখানে হাইকোর্টের রায়ে সাফ ওই কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই মহিলার স্বামী ব্যবসা করতেন এবং তিনি একটি ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন। যদিও কিছুদিনের মধ্যে ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় ওই মহিলার স্বামী তাঁর কাছ থেকে ঋণ শোধের জন্য টাকা নেন। এভাবে বার বার স্ত্রীর থেকে টাকা নিলেও বাজারের কোনও ধারই পরিশোধ করছিলেন না স্বামী।
আরও পড়ুন: সিধু মুসেওয়ালা হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্তদের নাগাল পেতে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই গ্যাংস্টারের
এদিকে স্ত্রীকে বারবার ধোঁকা দিয়ে এভাবে টাকা আদায় করায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন স্ত্রী। তারপরই নিম্ন আদালতে ডিভোর্স চেয়ে মামলা দায়ের করেন। যদিও নিম্ন আদালতে তাঁর যুক্তি খারিজ হয়ে গেলেও কর্ণাটক হাইকোর্ট মহিলার দাবি মেনে নিয়ে তাঁকে বিবাহ বিচ্ছেদের অনুমতি দেয়।