লাইফ স্টাইল
সবচেয়ে বেশি মাংস খান যারা
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: মাংস ও দুগ্ধ শিল্পের কারণে পরিবেশের অনেক বড় ক্ষতি হচ্ছে, একথা অনেকদিন ধরেই বলছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু তারপরও মাংস খাওয়া কমছে না। তবে অনেকেই মাংস খাওয়া ছেড়ে দিচ্ছেন স্বাস্থ্যের কারণে। তাছাড়া অনেকেই আবার খাবারের তালিকা থেকে মাংসকে বাদ দিচ্ছেন পরিবেশ রক্ষা আর পশুপাখির জীবনের কথা ভেবে।
জার্মানির ট্রিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক মনোবিজ্ঞানী বেনইয়ামিন বুটলার বলছেন অভ্যাস, সংস্কৃতি বা ঐতিহ্যর কারণে মানুষ মাংস খায়। বিজ্ঞানীরা অনেকদিন বিশ্বাস করতেন মাংস খাওয়ার কারণে আমাদের পূর্বপুরুষদের দেহগঠন মানুষের মতো হয়েছে। প্রায় ২০ লাখ বছর আগে মাংস ও হাড়ের অস্থি মজ্জার কারণে মস্তিষ্কের আকার বড় হয়েছে বলেও মনে করতেন তারা।
আরও পড়ুন: শুধু পল্লবী নয়, সাগ্নিকের নাম জড়াল আরও এক ‘আত্মহত্যা’ কাণ্ডে
জীবাশ্ববিদ ব্রায়ানা পোবিনার মতে, ২০ লাখ বছর আগে মাংস খাওয়ার কারণে মস্তিষ্কের আকার বাড়ার তথ্যটি ঠিক। তবে সেটি ১০ লাখ বছর আগে মানুষ রান্না করে খাবার খাওয়া শুরুর পর মস্তিষ্কের আকার বৃদ্ধির হারের চেয়ে কম। তিনি বলেন, খাবার রান্না করার কারণে বেশি পুষ্টিকর হয়েছে। এছাড়া খাবার নরম হওয়ায় খেতে এবং হজমেও সুবিধা হয়েছে।
তবে জানেন কি সবচেয়ে বেশি মাংস খান কারা? এক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, যুক্তরাজ্যে প্রতি তিনজনের একজন অঙ্গীকার করছেন যে তারা মাংস খাওয়া একেবারেই বাদ দিয়েছেন কিংবা কমিয়ে দিয়েছেন। আর যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সংখ্যা প্রতি তিনজনে দুইজন। যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার পরেই রয়েছে নিউজিল্যান্ড ও আর্জেন্টিনা। এই দুটো দেশে একজন ব্যক্তি বছরে ১০০ কেজির বেশি মাংস খায়। সমীক্ষা অনুযায়ী, ৫০ বছরে গোটা বিশ্বে মাংস খাওয়ার পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৬০ এর দশকে যতো মাংস উৎপাদন করা হতো বর্তমানে তার তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি উৎপাদিত হচ্ছে। তবে নিম্ন আয়ের বেশিরভাগ দেশগুলোতেই মাংস এখনও একটি বিলাসবহুল খাদ্য।