বাংলার খবর
সংসার চালাতে মা বাঁধেন বিড়ি, উচ্চ মাধ্যমিকে পঞ্চম স্থান দখল বাঁকুড়ার সোমনাথের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: মা বাঁধেন বিড়ি। এক চিলতে টিনের চালের ঘরে পড়াশোনা করে উচ্চ মাধ্যমিকে পঞ্চম স্থান দখল করল বাঁকুড়ার সোমনাথ পাল।
এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে বাঁকুড়া গোয়েঙ্কা বিদ্যায়তনে ছাত্র সোমনাথ পাল৷ বাড়ি সানবাঁধা এলাকায়। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪৷ সোমনাথের মা বিড়ি বেঁধে সংসার চালান৷ সোমনাথের বাবা ছিলেন সব্জি বিক্রেতা৷ ৪ বছর আগে এক দুর্ঘটনার পর থেকে বাড়িতেই বসে তিনি৷
তার এই সাফল্যের পিছনে মা-বাবার বড় ভূমিকা ছিল। বলছে পঞ্চম স্থান অধিকার করা সোমনাথ পাল৷ সংসার চালাতে সারাদিন কষ্ট করেন সোমনাথের মা৷ খুবই কষ্ট করে সংসার চলে৷ টিনের চালের বাড়ি৷ এই বাড়ি থেকেই আগামী দিনে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখে সোমনাথ৷ শিক্ষক সমাজের মেরুদণ্ড৷ তাই সোমনাথও নিজে শিক্ষক হয়ে সমাজের উন্নতি করতে চায়৷
এদিকে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানে পর আজ উচ্চমাধ্যমিক ফল প্রকাশিত হল। ভাগ্য নির্ধারণ হল রাজ্যের লক্ষাধিক পরীক্ষার্থীর। মাধ্যমিকের মেধা তালিকার পাশাপাশি উচ্চমাধ্যমিকেও স্থান পেল বাঁকুড়া জেলা।
আরও পড়ুন: নুন আনতে পান্তা ফুরানোর সংসারে উচ্চ মাধ্যমিকে পঞ্চম ছেলে, উচ্চ শিক্ষার চিন্তায় অথৈ জলে পরিবার
বাঁকুড়া গোয়েঙ্কা হাইস্কুলের ছাত্র সোমনাথ পাল এবারে উচ্চমাধ্যমিকের মেধা তালিকায় পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে। তার মোট প্রাপ্ত নাম্বার ৪৯৪, বাড়ি বাঁকুড়ার সাঁনবাঁধা এলাকায়। সোমনাথ জানায় বাড়িতে চরম অনটনের মধ্যে সে তার পড়াশুনো চালিয়ে নিয়ে গিয়েছে। বাবা শারীরিক ভাবে অক্ষম তাই কাজ বলতে কিছুই করতে পারেন না। মা বিড়ি বেঁধে সংসার চালায়।
আরও পড়ুন: অলিচিকি ভাষায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা, মেধা তালিকায় দশম স্থানে বাঁকুড়ার সিলি টুডু
জানা গিয়েছে, সব শিক্ষকরা তাকে আদ্যপ্রান্ত অনেকভাবে সাহায্যে করেছে। অনেকে বিনা পারিশ্রমিক তাকে পড়িয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকে তার এই প্রাপ্তি সে তার মা-বাবা এবং শিক্ষকদের দিতে চায়। ভবিষ্যতে ভূগোল নিয়ে পড়ে পরবর্তীতে ভূগোলের শিক্ষকতা করতে চায় সোমনাথ পাল।