দাবিমতো পণ দিতে না পারায় গৃহবধূকে জ্যান্ত পুড়িয়ে হত্যা, কাঠগড়ায় শ্বশুরবাড়ি
Connect with us

বাংলার খবর

দাবিমতো পণ দিতে না পারায় গৃহবধূকে জ্যান্ত পুড়িয়ে হত্যা, কাঠগড়ায় শ্বশুরবাড়ি

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: দাবিমতো অতিরিক্ত পণ না দেওয়ায় এক প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুর -শাশুড়ির বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে, মালদা শহরের বুড়াবুড়ি তলা এলাকায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চারেক আগে ইংরেজবাজারের জোত আরাপুর এলাকার বাসিন্দা অশোক কুমার সিংহর মেয়ে অর্পিতা সিংহর সঙ্গে মালদা শহরের বুড়াবুড়ি তলা এলাকার বাসিন্দা দিলীপ দাসের ছেলে শুভদীপ দাস এর সঙ্গে বিয়ে হয়। মেয়ে স্পষ্ট কথা বলতে পারে না বলে সমস্ত ধরনের রীতি মেনে সে সময় ছেলেকে প্রায় সাত লাখ টাকা, ছয় ভরি সোনা দিয়ে বিয়ে দেয়। তার পরেও আবারও মাঝেমধ্যেই অতিরিক্ত টাকা পয়সার দাবি এবং মেয়ের বাবার বাড়ির সম্পত্তি ভাগ করে ছেলের নামে রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার চাপ দিতে থাকেন অভিযুক্ত শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা।

আরও পড়ুন: থমথমে বকটুই, অজানা আতঙ্কে গ্রাম ছাড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা

Advertisement

জানা গিয়েছে, ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলেই মাঝেমধ্যেই মারধর সহ ওই গৃহবধূকে বাড়ি থেকে বের করার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এদিন সেই ঘটনা অতিরিক্ত মাত্রায় পৌঁছলে ওই প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। আরও জানা গিয়েছে, গায়ে আগুন ধরিয়ে মেয়ের পরিবারকে ফোন করে জানানো হয় যে, তাঁদের মেয়েকে মালদা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।

পরিবারের লোকজন মালদা মেডিকেল কলেজে আসতেই ছেলের পরিবারের লোকজন সেখান থেকে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। প্রায় রাত্রি ন’টা নাগাদ মেয়েটি মারা যায়। এই ঘটনায় তাঁর স্বামী শুভদীপ দাস, শশুর দিলীপ দাস ও শাশুড়ি সীমা দাস এর বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় পুড়িয়ে মারার অভিযোগ দায়ের করা হয়।

আরও পড়ুন: গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

Advertisement

ঘটনায় নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (Malda) এসে মৃত গৃহবধূকে দেখে যায়। এরপরই মৃত ওই গৃহবধূর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পোস্টমর্টেম বিভাগে পাঠানো হয়। এদিকে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।