বাংলার খবর
বাড়িতে মজুত থাকা বেআইনি বাজিতে বিধ্বংসী আগুন, প্রাণ গেল একরত্তির

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বাজি তৈরির গ্রাম ছেড়ুয়ায় রাতের অন্ধকারে আচমকা অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটল এক গৃহস্থের বাড়িতে। ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি এক গৃহবধূ সহ তার দুই বছরের পুত্রসন্তান। এদিকে মর্মান্তিক এই ঘটনায় বৃস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয়েছে বছর দু’য়ের ওই শিশুর।
এদিকে, হঠাৎ করে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্রমেই দানা বাঁধছে রহস্য। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে হঠাৎই ছেড়ুয়ায় শেখ কাশীরুদ্দিনের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেসময় বাড়ির ভিতরেই ছিলেন কাশীরুদ্দিনের স্ত্রী রোকসানা বিবি ও তার দু বছরের পুত্রসন্তান আব্দুল হালিম। অগ্নিদগ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকেই ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তবে বৃহস্পতিবার সকালেই মারা যায় বছর দু’য়ের ছোট্ট শিশুটি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে শিশুর মা।
আরও পড়ুন: জঙ্গিদের নিজের বাড়িতে আশ্রয়, শ্রীঘরে স্কুল শিক্ষক
প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর সদর ব্লকের ছেড়ুয়া গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই তৈরি হয় নানা ধরনের শব্দবাজি ও আতসবাজি। অভিযোগ সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে চালানো হয় ওই বাজির কারখানা।সূত্রের খবর, শেখ কাশীরুদ্দিনের বাড়িতেও মজুত থাকত নানা ধরনের শব্দবাজি । বুধবার রাতে সেই বাড়িতেই আগুন লেগে অগ্নিদগ্ধ হয় ওই গৃহবধূ ও তার ছেলে। আহতের পরিবারের সদস্যদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই দাম্পত্য কলহ চলছিল রুকসানা বিবি ও তার স্বামীর মধ্যে। এর আগেও একাধিকবার রুকসানাকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে।
যদিও এই ঘটনায় আহতের বাপের বাড়ির সদস্যদের দাবি, কীভাবে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখুক পুলিশ।এখনও পর্যন্ত ঘটনা নিয়ে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। মজুত করা বাজিতে আগুন লেগে এই ঘটনা নাকি গোটা ঘটনার পিছনে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের তরফে। তবে ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত হদিশ মেলেনি অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূর পরিবারের সদস্যদের। এদিকে গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
অন্যদিকে, রাতের অন্ধকারে ঠ্যালা গাড়িতে করে পাচার হচ্ছিল চোরাই শাল কাঠ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেই গাড়ি সমেত কাঠ উদ্ধার করল বনবিভাগের কর্মীরা। যদিও এই ঘটনায় কাঠ মাফিয়ারা পালিয়ে যাওয়ায় অভিযুক্তদের ধরতে পারেননি বনকর্মীরা।
এদিকে চোরাই কাঠ পাচার রুখতে ফের এই সাফল্য পেল চালসা রেঞ্জের বনকর্মীরা। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে কাঠ ভর্তি ওই ঠ্যালা গাড়িটি খরিয়ার বন্দর জঙ্গল হয়ে মাথাচুলকা আসার কথা ছিল। খবর মতো বিট অফিসার রাতেই মনুয়ার হোসেনের চারাকারবারিদের ধরতে ওঁত পেতে ছিল। এদিন রাত প্রায় আড়াই’টা নাগাদ বনকর্মীরা তাদের পিছন দিক থেকে ধাওয়া করে। জানা গিয়েছে, বনকর্মীদের ধাওয়া বুঝতে পেরে ঠ্যালা গাড়ি সমেত ওই কাঠ মাথাচুলকা দক্ষিণ বাড়ি ও শুয়োরপিটা এলাকায় রেখে পালিয়ে যায় তারা। এরপর বনকর্মীরা ওই চোরাই কাঠ ভর্তি গাড়ি রাতেই নিয়ে আসেন চালসা ফরেস্ট ক্যাম্পে।