ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত গৃহবধূ, বাড়ি ফিরে যা দেখলেন স্বামী
Connect with us

বাংলার খবর

ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত গৃহবধূ, বাড়ি ফিরে যা দেখলেন স্বামী

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ:  শ্রীরামপুর প্রভাসনগরে খুন গৃহবধূ। মৃতের নাম রেনু সাউ(৪০)। এদিন তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। শুক্রবার দুপুর সোয়া তিনটে নাগাদ এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় শ্রীরামপুর পুরসভার ২৯ নং ওয়ার্ড প্রভাসনগর এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের স্বামী রমেশ সাউ ভ্যানে করে কাপড় ফেরি করেন। এদিন দুপুরে তিনি তার দশ বছরের ছেলেকে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলেন।

জানা গিয়েছে, ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পরে রয়েছে স্ত্রী। গলা কাটা, হাতেও ধারালো অস্ত্রের ক্ষত। তড়িঘড়ি  তাঁকে উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও বাঁচানো যায়নি রেনু সাউকে। ঘটনার খবর পেয়ে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ প্রভাসনগর পৌঁছায়। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, খুন করা হয়েছে তাঁকে। এদিন দুপুরে পুলিশ তাঁদের বাড়িতে গিয়ে দেখেন ঘরের আলমারি খোলা। জিনিস পত্র ছড়ানো ছিল। লুটপাটের উদ্দেশ্য খুন নাকি এর পিছনে অন্য কারন আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।এই বিষয়ে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কোনও শব্দ পাননি তাঁরা। প্রভাসনগর ঘন বসতি এলাকা।সেখানে দিনে দুপুরে এই ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।

অন্যদিকে,  কিডন্যাপ হওয়া ১১ মাসের শিশুপুত্র উদ্ধার করলো নন্দকুমার থানার পুলিশ। বাইক নিয়ে ধাওয়া করে তমলুক থানার নিমতৌড়ি থেকে উদ্ধার করে নন্দকুমার থানার ট্রাফিক বিভাগ ও পুলিশ বাহিনী।

Advertisement

আরও পড়ুন: ক্লাসরুমে পড়ুয়া, স্কুলে তালা দিয়ে বাড়ি ফিরে গেলেন শিক্ষিকারা

জানা গিয়েছে,  চণ্ডীপুর থানার বৃন্দাবনপুর ২ নম্বর অঞ্চলের কয়ালচক এলাকার বাসিন্দা সাহেদা বিবি র ১১ মাসের শিশুপুত্র বাড়িতে খেলা করছিল। জানা গিয়েছে, এদিন ভোরবেলা বাচ্চাটির মা যখন বাড়ির কাজে ব্যস্ত ছিলেন সেই সময় স্থানীয় এক যুবক শেখ সেরাজুল (সুবল) সুযোগ পেয়ে বাচ্চাটিকে বাড়ি থেকে চুরি করে বাইকের সামনে গামছায় বেঁধে নিয়ে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: টানা দ্বিতীয়বার উত্তরপ্রদেশের মসনদে যোগী, লখনউতে জমকালো অনুষ্ঠানে উপস্থিত মোদি-শাহরা

Advertisement

এরপর বাচ্চাটিকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। অপরদিকে প্রতিবেশি কয়েকজন ওই যুবককে বাচ্চাকে নিয়ে যেতে দেখতে পান। খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে ওই পরিবার চণ্ডীপুর থানার দ্বারস্থ হয়। অপরদিকে সেরাজুল বাচ্চাটির মাকে ফোন করে ২ লাখ টাকা নিয়ে আসতে বলে নন্দকুমার থানার ১১৬ বি জাতীয় সড়কের শীতলপুর এলাকায়। চণ্ডীপুর থানার থেকে খবর পেয়ে নন্দকুমার থানার পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। পুলিশ কে দেখে বাইকের সামনে বাচ্চাটিকে গামছায় বেঁধে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে মেছেদার দিকে বাইক নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত। নন্দকুমার থানার ট্রাফিক বিভাগ ও টিম সেরাজুল এর বাইকের পিছনে ধাওয়া করে। শেষমেশ স্থানীয়দের চেষ্টায় তমলুক থানার নিমতৌড়ি এলাকা সংলগ্ন এলাকা থেকে স্থানীয়দের চেষ্টায় অভিযুক্তকে ধরে ফেলে পুলিশ। ধৃতের থেকে বাচ্চাটি ও বাইক বাজেয়াপ্ত করেছে নন্দকুমার থানার পুলিশ। এরপর চণ্ডীপুর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই ধৃতকে।