বাংলার খবর
পরকীয়ায় জটিলতা, প্রেমিককে ভিডিয়ো রেকর্ডিং পাঠিয়ে আত্মঘাতী গৃহবধূ

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের! প্রেমিককে লাইভ কলে রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন গৃহবধূ। মৃত্যুর আগের মুহুর্ত পর্যন্ত গোটা ঘটনার ভিডিয়োটি প্রেমিকের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন ওই গৃহবধূ।
শুক্রবার এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডে। মৃত ওই মহিলার নাম সীমা মজুমদার। শুক্রবার বিকেলে তাঁর বাড়ির দোতলার ঘর থেকে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দীর্ঘদিন ধরেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। এরফলে স্বামীর সঙ্গে অশান্তি লেগেই ছিল। হচ্ছিল না প্রেমিকের সঙ্গেও বনিবনা। ত্রিকোণ এই সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আত্মহত্যার আগে পর্যন্ত গোটা ঘটনার লাইভ ভিডিয়ো করতে থাকেন ওই গৃহবধূ। আত্মঘাতী হওয়ার আগে ওই ভিডিয়ো রেকর্ডিং প্রেমিক তুহিন সাহার মোবাইলে পাঠিয়ে দেন তিনি। গৃহবধূ।
আরও পড়ুন: পরিবারের অমতে বিয়ে, শ্বশুরবাড়ি এসে চরম পরিণতি জামাইয়ের
আরও জানা গিয়েছে, ফাঁসিতে ঝোলার আগে নিজের মোবাইলে ভিডিয়ো তুলে কলকাতার বাসিন্দা তুহিন সাহা নামে তার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে পাঠায় ওই গৃহবধূ। এরপর শুক্রবার বিকেলে ধুপগুড়ি শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই গৃহবধুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর বাড়ির দোতালা ঘর থেকে। পরকীয়া সম্পর্কে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার জন্যই ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি পরিবারের।
এই বিষয়ে মৃত ওই গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার বাসিন্দা তুহিন নামের এক যুবকের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ হয় সীমার। তারপর থেকেই ক্রমশ তাঁদের সম্পর্কের গভীরতা বাড়তে থাকে। এমনকি বেশ কিছুদিন আগে কলকাতার সেই যুবকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ।
আরও পড়ুন: গরমে নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গ, সোয়েটার পরে স্কুলে যেতে হচ্ছে পড়ুয়াদের
মৃতার স্বামীর দাবি, দিনরাত ফোনে ব্যস্ত থাকত তার স্ত্রী। আর এই নিয়ে সংসারে অশান্তি তৈরি হচ্ছিল। এদিন ফাঁসিতে ঝোলার আগে নিজের ফোনে সেই ভিডিয়ো রেকর্ডিং করে কলকাতার সেই যুবককে পাঠায় মৃতা ওই গৃহবধূ। প্রাথমিকভাবে এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে কিনা সেটি তদন্ত সাপেক্ষ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।