বাংলার খবর
আদর যত্নে ভরিয়ে আহত শাঁখামুটিকে সুস্থ করে প্রকৃতির কোলে ফিরিয়ে দিলেন যুবক

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রাস্তার পোষ্য হোক কিংবা অন্য কোনও সারমেয় আহত পশুকে সেবাশুশ্রষা করার জন্য এগিয়ে আসেন বহু পশুপ্রেমীরাই। নিজের সাধ্যমতো সেবাযত্নে অবলাকে সুস্থ করে তাদের নিজেদের বাসস্থানে ফিরিয়ে দেন অনেকেই। একটু খেয়াল করলেই এমন ঘটনা আমাদের চারপাশে আখছাড়ই দেখা যায়। এ আর নতুন কী?
হ্যাঁ এই গল্পটা একটু অন্যরকমই বটে। চোখের সামনে লিকলিকে দড়ির মতো সরীসৃপকে দেখলে যখন শিউরে ওঠার যোগার, তখন সেই আহত সরীসৃপকে ধরে তার সেবাযত্ন করে আবার নিজের জায়গায় ফিরিয়ে দিলেন এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, চার বছর আগে ফাঁদি জালে আটকে থাকা অবস্থায় একটি বিষহরকে সাপকে উদ্ধার করে সুস্থ করে তোলার পর তাকে ফের তার বাসস্থানে ছেড়ে দিলেন বন্যপ্রাণ প্রেমী চন্দন ক্লেমেন্ট সিং।
জানা গিয়েছে, বিরল সাদা হলুদ শাঁখামুঠি সাপটিকে আবার প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দিয়ে খুশি চন্দন। চার বছর আগে সরস্বতী নদীতে পাতা ফাঁদি জালে আটকে পরেছিল সাপটি। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ব্যান্ডেলে নিজের বাড়িতেই চিকিৎসা করেন চন্দন। অনেকদিন খাবার খেতে পারত না সাপটি। ধীরে ধীরে তাকে খাবার দিয়ে চিকিৎসা করে সুস্থ করে তোলেন। বেশ কিছুদিন খোলা মাঠে নিয়ে গিয়ে সাপটিকে প্রকৃতিতে মানিয়ে নেওয়া অভ্যাসও করান। কিন্তু কোথায় ছাড়বেন তা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। অবশেষে মগড়ায় কুন্তি নদীতে শাঁখামুঠি সাপটিকে ছেড়ে দেন।
আরও পড়ুন: Viral News: রান্না করেনি স্বামী, পেনিসে বড়শি গাঁথলেন স্ত্রী
এই বিষয়ে চন্দন জানান, সাধারণত শাঁখামুঠি সাপ কালো হলুদ হয়। এই ধরনের সাপ প্রকৃতিতে মিশে গিয়ে নিজেদের শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। কিন্তু সাদা হলুদ ডোরা শাঁখামুঠি নিজেদের লুকাতে পারে না। তাকে থাকতে হয় গোপন আস্তানায়। সাপটিকে সরস্বতী নদী থেকে পাওয়া গেলেও বর্তমানে সরস্বতী নদীর জল অত্যন্ত খারাপ। এমন জায়গাতেও ছাড়া যাবে না। যেখানে সাপটির ক্ষতি হতে পারে। তাই ফাঁকা মানুষের আনাগোনা কম এমন জায়গাতেই ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
আরও পড়ুন: এক রাজ্যে টিকিট কাটলেও ট্রেন ধরতে যেতে হবে অন্য রাজ্যে, জানুন আসল তথ্য
চন্দন আরও জানান, শাঁখামুঠি বিষধর কিন্তু কখনও কাউকে কামড়েছে বলে শোনা যায় না। নিরীহ এবং ভীতু সাপ বলেই মনে করা হয় এটিকে। শাঁখামুঠি সাপ এখন খুবই কম দেখা যায় আর সাদা হলুদ রঙের শাঁখামুঠি প্রায় দেখা যায় না বললেই চলে। তাই প্রকৃতির জীব প্রকৃতিতেই ভালো থাকুক বলে জানিয়েছেন তিনি।