বাংলার খবর
সুস্থ থাকতে গাছ-গাছড়ার জুরি মেলা ভার, আয়ুষ ভেষজ উদ্যান গড়ে তুলছে স্বাস্থ্যদফতর
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: সুস্থ থাকতে ভেষজের বিকল্প নেই,তাই আয়ুষ ভেষজ উদ্যান গড়ে তুলছে হুগলি জেলা স্বাস্থ্যদফতর। মনে করা হয়, অ্যালোপাথি ওষুধে অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। তাই একটা রোগ সারাতে গিয়ে আরেকটা রোগ বাঁধিয়ে বসেন অনেকে। ভেষজে তা নেই।
তুলসী,নিম,থানকুনি,পিপুল,গুলঞ্চ,পুদিনা অশ্বগন্ধার মত হরেক ভেষজ উদ্ভিদ রয়েছ যেগুলো আমাদের চারিপাশে অনায়াসে পাওয়া যায়। এইসব গাছ গাছালী দিয়ে ওষুধ তৈরী হয়। পরিমাণ মত খেতে জানলে সরাসরি ভেষজ ব্যবহার করা যেতে পারে।
হুগলি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের ডিএমও আয়ূষের প্রধান প্রভঞ্জন গায়েন বলেন,ভেষজ জীবন ও জীবিকা দুই।আয়ুষ জীবন বাঁচায় আবার আয়ুষ ভেষজ চাষ করে জীবিকাও চলতে পারে। হুগলি জেলায় কুড়িটি ভেষজ উদ্দান গড়ে তোলা হচ্ছে এই মুহুর্তে।বলাগড়ে তৈরী হচ্ছে আয়ূষ ভেষজ পার্ক।এর জন্য কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে সরকারি ভাবে।সিঙ্গুরের বলরামবাটিতেও ভালো আয়ূষ ভেষজ উদ্দান তৈরী হয়েছে।
আরও পড়ুন: National Herald case: সনিয়া-রাহুলকে তলবের চিঠি পাঠাল ইডি
চুঁচুড়ায় ডিএমও অফিসের সামনে তৈরী হয়েছে আয়ূষ ভেষজ উদ্দান।চিকিৎসক গায়েন আরো বলেন,ঠিক করে খেতে জানলে আয়ূষ মানুষকে নিরোগ দীর্ঘ জীবন দেয়।ওষুধের পিছনে বহু টাকা ব্যায় করতে হয় অনেককে।আয়ূষের অভ্যাস করলে অর্থ সাশ্রয় হবে।কেউ যদি বাড়িতে ভেষজ বাগান করতে চায় তাদের সাহায্য করবে আয়ূষ।জেলায় কুড়িটি আয়ূষ সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরী হয়েছে।
আরও পড়ুন: তলোয়াড় দিয়ে কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন, বিতর্কে সমাজবাদী পার্টির নেতা
প্রত্যেকটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র এলাকায় একটি করে আয়ূষ উদ্দান তৈরি হবে।সাধারণ মানুষও ভেষজ গাছের চাষ করতে পারবে এবং প্রয়োজনে তা বিক্রিও করতে পারবে। কোচবিহারের শীতলকুচি তে আয়ূষের চাষ করে স্বনির্ভর হয়েছেন অনেক মহিলা।তারা সাবান জুস তৈরী করছেন।প্রথম থেকে সবাই যদি আয়ূষ অভ্যাস করে তাহলে তাদের অনেক বেশি দামে অ্যালোপাথি ওষুধ কেনা থেকে রেহাই মিলবে আবার গাছ বিক্রি করে অর্থ উপার্জনও করতে পারবে।