বাংলার খবর
বিরল রোগে আক্রান্ত খুদেকে সুস্থ করতে প্রয়োজন ৪০ লাখ, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আর্জি অসহায় বাবা-মায়ের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বিরল রোগে আক্রান্ত মাত্র দু’বছরের শিশু। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন চল্লিশ লাখ টাকা। কোলের সন্তানকে সুস্থ করে তুলতে অর্থ সংগ্রহের কাজে নেমেছেন মা-বাবা। সন্তানকে সুস্থ করে তুলতে চেয়ে অন্যদেরও পাশে এগিয়ে আসার আবেদন জানান নিরুপায় বাবা-মা।
জঙ্গিপাড়া আটপুরের গোপালপুরের বাসিন্দা অভিজিৎ জানার মেয়ে রাই জানা। বয়স দু বছর তিন মাস। একরত্তি মেয়েটা সবে হাঁটতে শিখছিল আদো আদো কথাও বলছিল। হঠাৎ তার হাঁটাচলা বন্ধ হয়ে যায়। বসেও থাকতে পারে না। সব সময় কাঁদে। কিছু খেতে পারে না। কি হল মেয়ের জানতে স্থানীয় চিকিৎসক থেকে কলকাতার বড় হাসপাতাল দৌড়াদৌড়ি করে কোনও লাভ হয়নি। কি রোগ তাই ধরা পড়েনি।
জানা গিয়েছে, এরপর বেঙ্গালুরুতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ এন্ড নিউরো সায়েন্সে নিয়ে যাওয়া হয় রাইকে। সেখানে নানা পরীক্ষার করেও কি রোগ তা সঠিক ভাবে জানা যায়নি। পরে বেঙ্গালুরুতেই নারায়ণা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গে ফোটেনি পদ্ম, জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে গুড বুকে শুভেন্দু-সুকান্ত
সেখানে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানা যায়, লিউকোডিসট্রফি(Leukodystrophy) নামে বিরল জেনেটিক রোগে আক্রান্ত হয়েছে ছোট্ট রাই। যে রোগ গোটা নার্ভ সিস্টেমকে অকেজো করে দেয়। শিরদাঁড়াতেও যার প্রভাব পড়ে। এরপরই চিকিৎসকরা রাইয়ের ব্যোন ম্যারো প্রতিস্থাপন করতে বলেন। যার খরচ প্রায় চল্লিশ লাখ টাকা। কিন্তু এত টাকা আসবে কোথা থেকে? মেয়ের কান্নায় রাতে ঘুম নেই মা বাবার। তাই বন্ধুদের সাহায্য নিয়ে শুরু করেন অর্থ সংগ্রহ। ইতিমধ্যেই চার লাখ টাকা খরচ হয়েছে মেয়ের চিকিৎসায়। জমি বিক্রি করে সেই টাকা এসেছে।
বেঙ্গালুরুর হাসপাতাল জানিয়েছে, এক মাসের মধ্যে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। যত দেরি হবে তত খারাপ হবে রাইয়ের শরীর। আপাতত তিন লাখ টাকা জমা দিলে চিকিৎসাটা শুরু করা যাবে। সেই টাকাও নেই অসহায় বাবার কাছে। তাই অভিজিৎ এর বন্ধুরা ঘুরে ঘুরে অর্থ সংগ্রহ করছে। রবিবার ফুরফুরা শরিফে অর্থ সংগ্রহে গিয়ে বন্ধু দীপক দে বলেন, ”মেয়ের চিকিৎসায় জমি বেচে দিয়েছে অভিজিৎ। ওর এখন আর কিছুই নেই। আমরা চেষ্টা করছি মেয়েটাকে বাঁচানোর। কিন্তু শুধু আমাদের চেষ্টায় সবটা হবে না। আরও মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে”।
আরও পড়ুন: গভীর রাতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে অচেনা পুরুষ, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন!
রাইয়ের মা শ্যামশ্রী জানা বলেন, ”মেয়ে এখনও শক্ত খাবার খেতে পারে না। সব সময় কাঁদে। রাতে ঘুমোতেও পারে না। গত দুমাস ধরে বিভিন্ন হাসপাতাল দৌড়ে বেরিয়েছি। মেয়ের চিকিৎসার জন্য এত খরচ কোথা থেকে আসবে জানি না”।
রাইয়ের চিকিৎসায় সাহায্যের জন্য আবেদন করা হয়েছে স্থানীয় বিধায়ক,সাংসদ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও।