বাংলার খবর
পান্তা উৎসবে মাতোয়ারা হুগলি

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: দেখা নেই বৃষ্টির। ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল মানুষ। স্বস্তির বৃষ্টির আহ্বানে পান্তা উৎসব অনুষ্ঠিত হল চুঁচুড়ায়।
গরমে অনেকেরই প্রিয় খাবার পান্তা ভাত। শুধু বাঙালিরাই নন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর প্রচলন আছে। সাদাভাতের চেয়ে পুষ্টিমানে এগিয়ে পান্তাভাত। পান্তাভাতে বেশি পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম আছে। দ্রুত শক্তি জোগায় বলে কায়িক পরিশ্রম করা মানুষ তাৎক্ষণিকভাবে পান্তাভাতের সুফল পান। রক্তস্বল্পতার শিকার মানুষের জন্য পুষ্টিকর খাবার পান্তাভাত। এবার সেই পান্তাভাতের উৎসবের আয়োজন শুরু হল হুগলির চুঁচুড়ায়। মেনুতে পান্তা ভাত, আলু ভাতে, পাঁচ রকম ভাজা, ভেটকি, মৌরলা, কাতলা থেকে চাটনি, পাঁপড়, মিষ্টি সহ মোট আঠারো পদের রান্না ছিল এই উৎসবে।
বৃহস্পতিবার চুঁচুড়ার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আরোগ্যের উদ্যোগে পালিত হল পান্তা উৎসব। এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি খাবার পরিবেশন করেন সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত। উপস্থিত ছিলেন শিল্পী তপন সাহা, জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক অরুন কান্তি নিয়োগী সহ প্রমুখ। বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত বলেন, প্রতি বছর আরোগ্যের তরফে পান্তা উৎসবের আয়োজন করা হয়। জেলার মানুষের পাশাপাশি বাইরের রাজ্যের মানুষেরও সমাগম হয় এই অনুষ্ঠানে।
সংস্থার কর্নধার ইন্দ্রজিত দত্ত বলেন, বর্ষার আহ্বানে বারো বছর আগে শুরু হয়েছিল পান্তা উৎসব। তারপর থেকে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এই উৎসব। গত দুই বছর করোনার জন্য বন্ধ থাকায় এবছর অনুষ্ঠিত হল পান্তা উৎসব। প্রায় এক হাজার মানুষ যোগ দেয় এই অনুষ্ঠানে।