বাংলার খবর
দীপাবলি, ছটপুজোয় সব ধরনের বাজি নিষিদ্ধ, সবুজ বাজিতেও নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টের
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: সব ধরনের আতশবাজি নিষিদ্ধ করল কলকাতা হাইকোর্ট। ‘পরিবেশ বান্ধব’ সবুজ বাজিও এবার ফাটানো যাবে না বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো, ছটপুজো, বড়দিন, নিউ ইয়ারে কোনওরকম বাজিই ফাটানো যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের অবকাশকালীন বেঞ্চ।
গতবছরও দীপাবলিতে আতশবাজির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল হাইকোর্ট। এবারও সেই রায় বজায় রাখল আদালত। গতবছর দীপাবলিতে রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত পরিবেশবান্ধব বাজি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ছটপুজোর দিন সকাল ৬টা থেকে ৮টা এবং নিউ ইয়ারে রাত ১১টা৫৫ থেকে ১২.৩০ পর্যন্ত পরিবেশ বান্ধব বাজি পোড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার বাজি একেবারেই নিষিদ্ধ করে দিল আদালত। বাজি বেচা, কেনার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বাজির শব্দ ও ধোঁয়ায় যাঁদের শ্বাসকষ্ট রয়েছে তাঁদের শরীরের অবস্থার অবনতি হতে পারে, সেই জন্য বাজি ফাটানো উচিত নয় বলে জানানো হয়েছে। বেঁচে থাকার অধিকার সবার রয়েছে, বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবে কখনও কখনও ছোট ছোট আনন্দ ত্যাগ করতে হয় বলে জানিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
বাজির ধোঁয়া থেকে দূষণে বয়স্ক ও শিশুদেরও শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে, তাই এই বছরও আতশবাজি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে পরিবেশ কর্মী রোশনি আলি আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। এদিন সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দ্রুত এই রায় প্রশাসনকে দিয়ে রাজ্য সরকারকে কার্যকর করানোর জন্যও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রাত ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পরিবেশ বান্ধব বাজি ফাটানো নিয়ে যে নোটিস জারি করেছিল রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, তাও বাতিলের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরিবেশ বান্ধব বাজি নিয়ে আদালতের বক্তব্য, এই পরিবেশ বান্ধব বাজি নিয়ে কারও কাছেই কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই। সবুজ বাজি কী, তাতে কী কী রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, সেটা কে পরীক্ষা করবে? তাই আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ‘মানুষের জীবন আগে। কিছু মানুষের স্বার্থ হয়তো ক্ষুন্ন হবে। খুব কড়া সিদ্ধান্ত হয়তো নিতে হচ্ছে। কিন্তু তা না করলে বহু মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কাও তৈরি হবে।’