লাইফ স্টাইল
বয়স থেকে ওজন, কমিয়ে রাখে এই সবজি

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: গত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় বাজারে মাশরুম চাষের চাহিদা অনেক বেড়েছে। এ কারণেই মাশরুমের উৎপাদন বাড়ছে। সাধারণত চার ধরনের মাশরুম চাষ করা হয়, যার মধ্যে বোতাম মাশরুম, ঝিংড়ি মাশরুম, মিল্কি মাশরুম এবং স্ট্র মাশরুম প্রধান। অন্যদের তুলনায় ধিংরি মাশরুম একটি সহজ মাশরুম। ভারতে ১২ ধরনের ধিংরি মাশরুম জন্মানো এবং মধ্যপ্রদেশে ১২ মাস পর্যন্ত চাষ করা যায় এই মাশরুমের। ধিংরি মাশরুম সাদা, বাদামী, হলুদ, গোলাপী ইত্যাদি অনেক রঙে পাওয়া যায় এবং এটি খেতে খুবই সুস্বাদু, দেখতে সুন্দর, সুগন্ধি, নরম, উপাদেয় এবং পুষ্টিকর। মাশরুমে অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। উপরন্তু, এটি ফাইবারের একটি ভাল সোর্স। মাশরুম অনেক রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিদের জন্যও ভালো, কারণ এতে ক্যালরি বেশি থাকে না।
মাশরুমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও ভিটামিন পাওয়া যায়। মাশরুম ভিটামিন বি, ডি, পটাশিয়াম, কপার, আয়রন এবং সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ। এছাড়া মাশরুমে কোলিন নামক একটি বিশেষ পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা পেশীর সক্রিয়তা ও স্মৃতিশক্তি বজায় রাখতে খুবই উপকারী। মাশরুমের রেসিপিতে প্রোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ভিটামিন ডি, কপার, পটাসিয়াম, ফসফরাস, সেলেনিয়াম, ফাইটোকেমিক্যালস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরকে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।
মাশরুম খেলে ডায়াবেটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। মাশরুমে ক্যালোরি এবং চর্বি কম থাকে, যা আপনার ওজন বৃদ্ধি রোধ করতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। মাশরুমে খুব কম পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে, ফলে ওজন এবং রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়ে না। মাশরুমে কোলেস্টেরল খুব কম থাকে এবং এটি খেলে দীর্ঘক্ষণ খিদে পায় না। মাশরুমে চিনি এবং স্টার্চ কম থাকে এবং ডায়াবেটিস এবং স্থূলতায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা এটি খেতে পারেন।