ভাইরাল
কনকনে ঠান্ডায় বর অজ্ঞান! বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নিলেন খোদ পাত্রী
সাত পাকে বাঁধা পড়ার পরিবর্তে দেখা গেল অপ্রত্যাশিত একটি দৃশ্য। বিয়ের আসরে ব্যান্ডপার্টির জায়গায় হাজির হল পুলিশ, আর কনে নিজেই জানালেন বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত
ডিজিটাল ডেস্ক : বিয়ের মরশুমে ঘটে গেল অপ্রত্যাশিত ঘটনা, বিয়ের মরশুমে চারদিকে সানাইয়ের সুর আর আনন্দের পরিবেশ। ঠিক এই সময় দেওঘরে ঘটে গেল এমন এক ঘটনা, যা তীব্র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। সাত পাকে বাঁধা পড়ার পরিবর্তে দেখা গেল অপ্রত্যাশিত একটি দৃশ্য। বিয়ের আসরে ব্যান্ডপার্টির জায়গায় হাজির হল পুলিশ, আর কনে নিজেই জানালেন বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত।
ঘটনার সূত্রপাত গত ১৫ই ডিসেম্বর। দেওঘরের ঘোড়ামারা গ্রামের বাসিন্দা অর্ণবের সঙ্গে বিহারের ভাগলপুরের মেয়ে অঙ্কিতার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। অন্যান্য বিয়ের মতোই জমকালো আয়োজন হয়েছিল কনের পৈতৃক বাড়িতে। পুরো বাড়ি রঙিন আলো আর সাজসজ্জায় সেজে উঠেছিল। খোলা আকাশের নিচে বিয়ের পিঁড়ি সাজানো হয়। বরও যথাসময়ে হাজির হন। কিন্তু হঠাৎই ঘটে গেল এক অঘটন।
আরোও পড়ুন : ভাইরাল রাজুদা: তেলছাড়া পরোটা থেকে লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভে এবার টিভির পর্দায়!
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতে না হতেই প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে বর জুবুথবু অবস্থায় কাঁপতে থাকেন। মন্ত্রপাঠের মাঝেই বর সংজ্ঞা হারান। উপস্থিত সবাই হতবাক। দ্রুত তাকে ঘরের ভেতরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসক ডাকা হয়। বর প্রায় এক ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরে পেলেও, পাত্রী অঙ্কিতা ইতিমধ্যেই সন্দেহ প্রকাশ করেন।
কনের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ অঙ্কিতা জানান, বর সম্ভবত গুরুতর স্নায়ুর সমস্যায় ভুগছেন। তার দাবি, বরপক্ষ এই অসুস্থতার তথ্য গোপন করে তাকে বিয়ে দিতে চেয়েছিল। এমন অভিযোগ তোলার পরই তিনি বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন। এতে দুই পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে কনের পরিবার পুলিশের সাহায্য নেয়।
আরোও পড়ুন : গুগল ইন্ডিয়ার (Google India) এখন দায়িত্ব সামলাবেন এই নারী! পরিচয় জেনে রাখুন
বিয়ের আয়োজনে ‘জোর’ করার অভিযোগ সূত্র জানায়, ভাগলপুর থেকে অঙ্কিতার পরিবার প্রথম থেকেই বিয়ের নিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলেছিল। তবে বরপক্ষ এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি এবং বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন করে। বরের অসুস্থতার পর, কনের পরিবার বিয়ের বিরোধিতা করে। দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার পর, পরের দিন সম্মতিসূচক সিদ্ধান্তে বিয়ে বাতিল করা হয়।