বাংলার খবর
জেলা দফতরে সবুজ, নীল-সাদার সমারোহ, একী হল সিপিআইএম-এর!
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: সিপিআইএম জেলা অফিসে সবুজ হাওয়া! শুনতে অবাক লাগলেও, হুগলি জেলা সিপিআইএম অফিসে সবুজ পাখা ঘুরছে বনবন করে। ঘরে প্রয়াত সিপিআইএম নেতাদের ছবি সাদা দেওয়ালে টাঙানো। আলমারির রঙ নীল। লালের জায়গায় সবুজ, নীদ-সাদা! একী পরিবরর্তন হল সিপিআইএম-এর!
তবে, এতে দোষের কিছু দেখছেন না সিপিআইএম-এর জেলা নেতৃত্ব। দলের হুগলি জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ মনে করেন এতে দোষের কিছু নেই। উল্টে তাঁর পাল্টা যুক্তি, প্রকৃতিও তো সবুজ! তাঁর কথায়, ‘যেভাবে বিশ্ব উষ্ণায়ন বাড়ছে তাতে সবাইকে সবুজে থাকতে হবে। আর নীল-সাদা তো মারাদোনার আর্জেন্টিনার রঙ। মারাদোনা বামপন্থী ছিলেন। তাই নীল-সাদা আমাদের প্রিয় রঙ।’ সিপিআইএম জেলা সম্পাদক আরও বলেন, ‘আমার তো গেরুয়া জামাও আছে। প্রাক্তন ও সদ্য প্রয়াত জেলা সম্পাদক সূদর্শন রায় চৌধুরী গেরুয়া পাঞ্জাবী পরতেন।আসলে সিপিআইএম রঙ নিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট নয়।’
তৃণমূলের মিটিঙে সবুজ চেয়ার, সবুজ ম্যাটের সমাহার দেখা যায়। শ্রীরামপুর কুমিরজলা রোডে তিনতলা জেলা অফিস সিপিএম-এর।সেখানে অবশ্য সব চেয়ারই লাল। তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক দিলীপ যাদবও এতে খারাপ কিছু দেখছেন না। তিনি বলেন, ‘একটা রঙ দিয়ে রাজনৈক দল চেনা যায় না। আমরা তৃণমূল সবুজের পক্ষে। বামপন্থীরা নীল-সাদাকে কটাক্ষ করে অনেক কথা বলতেন। এখন তারা যদি নীল-সাদা বা সবুজ করেন তাতে অসুবিধা নেই।রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে সবাই চলে আসছেন। অন্য রাজনৈতিক দলের ভোটাররা চলে এসেছেন। আগামী দিনে উন্নয়নের পক্ষে থাকতে হলে তৃণমূলে আসতেই হবে।’ বিজেপি’র রাজ্য কমিটির সদস্য ভাস্কর ভট্টাচার্য্য এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর সিপিআইএম-এর চটিতে পা গলিয়েছিল। আর এখন সিপিআইএম-এর অস্তিত্ব বিপন্ন, তাই তারা তৃণমূলকে আপন করে নিচ্ছে।’