বাংলার খবর
পূর্ব মেদিনীপুরের এসপি-কে মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ৎসনায় ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল, সরব হলেন টুইটারে

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রাজ্য বনাম রাজ্যপাল সংঘাত কমার কোনও লক্ষণ নেই। একে অপরেরর বিরুদ্ধে তোপ দেগেই চলেছেন। কখনও রাজ্যপাল রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন আবার কখনও মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হন। এই সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ হয় গত কয়েকদিন আগে।
যখন নবান্নে বসে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন তিনি টুইটারে রাজ্যপালকে ব্লক করেছেন। এই ঘটনায় রাজ্য জুরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল। অনেকেই হয়তো ভাবছিলেন এবার হয়তো রাজ্যপাল একটু শান্ত হবেন। কিন্তু রাজ্যপাল সংবিধানের ধারা উপধারা উল্লেখ করে পরিষ্কার জানিয়ে যান কোনও সাংবিধানিক প্রধানকে এইভাবে ব্লক করা যায় না। দু’দিন আগেই দলের সাংগঠনিক নির্বাচনের দিন রাজ্যপালকে ‘ঘোড়ার পাল’ বলে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পর কড়া ভাষায় তার প্রতিক্রিয়া জানান রাজ্যপাল। পাশাপাশি, তাঁর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর তোলা একটিও অভিযোগ প্রমাণিত হলে রাজ্যপাল পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেবেন বলে ঘোষণা করেন ধনখড়। সেই সংঘাত থামার আগেই শুক্রবার ফের সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।
সেখানে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এসপি অমরনাথকে তীব্র ভর্ৎসনা করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এমনকি ওই এসপি-কে মুখ্যমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করেন রাজ্যপাল তাঁকে ফোন করেন কি না! ক্যামেরার সামনে মুখ্যমন্ত্রীর এই উক্তিতে নিন্দায় সরব হয় সমস্ত বিরোধী দল। এবার এই নিয়েই টুইট করে সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এমনকি এই বিষয়টি সর্বভারতীয় আইএএস অ্যাসোসিয়েশন এবং আইপিএস অ্যাসোসিয়েশনের নজরে আনার চেষ্টাও করলেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি এই টুইটটি কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশকেও ট্যাগ করেছেন। রাজ্যপাল টুইটারে লিখেছেন, ”কী উদ্বেগজনক পরিস্থিতি! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত সংবাদমাধ্যমের সামনে পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চাইছেন, ‘রাজ্যপাল কি আপনাকে ফোন করেন’! এটি গুরুতর বিষয়। অবিলম্বে বিষয়টির ওপর নজর দেওয়া প্রয়োজন। দুর্ভাগ্যজনক। পুলিশের মেরুদণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর আঘাত।”