বাংলার খবর
রাজগঞ্জে বাড়ির ভিত খুঁড়তে গিয়ে উদ্ধার গুপ্তধন!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : অবাক কান্ড! ঘরের মাটি খুঁড়তেগিয়ে বেরিয়ে এল গগুপ্তধন! মিলল সোনা ও রূপোর ঘড়া। ঘর বানানোর জন্য ভিত খোঁড়া হচ্ছিল। কোদালের সঙ্গে হঠাৎ উঠে এল অচেনা কিছু জিনিস। ততক্ষণে আর বোঝার বাকি নেই এগুলো বহু মূল্যবান সম্পদ। নিমেষেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়।
গোটা এলাকায় রটে গেল মাটির তলায় মিলেছে স্বর্ণের ভান্ডার। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের কালীনগর এলাকার রামনাবান্ধা গ্রামে। প্রতিবেশী ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রামনাবান্ধা গ্রামের মিঠু রায় পাকা বাড়ি করছেন। বেশ কয়েকদিন ধরেই কাজ চলছে। মঙ্গলবার দু’জন শ্রমিক মাটি খুঁড়ছিলেন। সেইসময় ধাতুর তৈরি একটি ঘড়া পাওয়া যায়। ঘড়া খুলতেই বেরিয়ে আসে সোনা ও রুপো সহ বহু মূল্যবান জিনিস। যেগুলির অধিকাংশই ওই দুই শ্রমিক নিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। পরিবার ও প্রতিবেশীরাও কিছু জিনিস পেয়েছেন। ঘটনাটি জানাজানি হতেই প্রচুর মানুষ ভিড় করেন। প্রতিবেশী নিরলা রায় জানিয়েছেন, ‘মাটি খোঁড়ার সময় একটি ঘড়ার মধ্যে সোনা-রূপো সহ মূল্যবান জিনিস পাওয়া গিয়েছে শুনে দৌড়ে আসি। অধিকাংশ জিনিস দুই শ্রমিক নিয়ে চলে যায়।
আমি একটি রুপোর চুড়ি পেয়েছিলাম। সেটি পুলিশ এসে নিয়ে গিয়েছে।’ পুলিশ ওই ঘড়া সহ আরও কিছু উদ্ধার হওয়া নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি এলাকার অনেকে জানলেও পরে সমস্যা হতে পারে ভেবে মুখ খুলতে নারাজ বাড়ির মালিক। বাড়ির মালিক মিঠু রায় বলেছেন, তিনি কর্মসূত্রে দার্জিলিঙে থাকেন। ঘটনাটি শুনে সেইদিনই তিনি বাড়ি আসেন। মাটির তলায় পাওয়া ঘড়ার মধ্যে কিছু মূল্যবান জিনিস পাওয়া গিয়েছে বলে শুনেছেন। তবে যা কিছুই পাওয়া যাক না কেন, তা যেন সরকারের ঘরে যায়, তার জন্য তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। রাজগঞ্জ থানার পুলিশ জানিয়েছে, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গেলেও কিছুই পাওয়া যায়নি। এছাড়া কেউ লিখিত অভিযোগও করেনি। তবে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।