‘মোদীকে গিয়ে বল’- আমাদের কথা মোদী অব্দি পৌঁছেছে, পহেলগাঁও হামলার বদলা নিল ভারত

ডিজিটাল ডেস্কঃ পহেলগাঁও হামলা, যা ভারতীয় উপমহাদেশে এক বিভীষিকাময় স্মৃতি হয়ে রয়েছে, সেখানে প্রাণ হারানো ২৬ পরিবারের জন্য গভীর শোকের মুহূর্ত বয়ে এনেছিল। কিন্তু সেই শোকার্ত মুহূর্তে সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযান একটি শক্তিশালী প্রতিশোধ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। এতে বাহওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammad), মুরাক্কায় লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba) ও হিজবুল মুজাহিদিন (Hizbul Mujahideen) এর সদর দপ্তর ধ্বংস হয়ে গেছে।

এই অভিযানের সময় প্রধানমন্ত্রীর (Prime Minister Narendra Modi) কঠোর নজরদারিতেই পাকিস্তানে হামলা চালানো হয়। অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদীদের খোঁড়া ঘাঁটিগুলোকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর পহেলগাঁও হামলায় নিহতদের পরিবার কিছুটা হলেও সান্ত্বনা পেয়েছে, যদিও ক্ষত কাটিয়ে ওঠা এক দীর্ঘ প্রক্রিয়া। 

এমনই এক শোকাহত পরিবার হলো হিমাংশী নারওয়াল (Himanshi Narwal) এর পরিবার। পহেলগাঁও হামলায় তার স্বামী লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিনয় নারওয়াল (Lt. Gen. Vinay Narwal) এর মৃত্যু হয়। তিনি জানান, “আমি ওদের বলেছিলাম মাত্র ৬ দিন আগে আমার বিয়ে হয়েছে, দয়া করে ছেড়ে দিন। কিন্তু তারা বলেছিল, মোদির কাছে গিয়ে দয়া ভিক্ষা করো। আজকে মোদিজি এবং আমাদের সেনারা তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছে।” হিমাংশীর মতে, “২৬টি পরিবার সেদিন যা যন্ত্রণা পেয়েছিলাম, সেই যন্ত্রণা আজ সীমান্তের ওপারে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।”

বিনয় নারওয়ালের বাবা রাজেশ নরওয়াল (Rajesh Narwal) বলেন, “যখন এই ঘটনা ঘটেছিল তখনই বলেছিলাম ভারত সরকারের উপর আমার পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে। আজ ওরা ওদের কাজ করল।” তিনি আরও বলেন, “যাঁরা নিজের সন্তান হারিয়েছেন, তাঁরা আর তাঁদের ফিরে পাবেন না, কিন্তু এই প্রত্যাঘাত সন্ত্রাসবাদীদের মনে ভয় ধরাবে। ভবিষ্যতে কাপুরুষের মতো হামলা চালাতে ভয় পাবে।”

অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান তথা পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে পহেলগাঁও হামলায় নিহতদের পরিবার কিছুটা হলেও শান্তি ও সমর্থন পেয়েছে, যদিও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে।