কর্মীসভার মঞ্চ থেকেই পুরুলিয়াকে বিরোধী-শূন্য করার ডাক মমতার

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: গত লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে পুরুলিয়াতে আশানুরূপ ফল হয়নি তৃণমূলের। পুরুলিয়া লোকসভা হাতছাড়া হওয়ার পর জেলার ৯টি বিধানসভার মধ্যে তিনটি এসেছিল তৃণমূলের দখলে। ৬টিতেই জিতেছিল বিজেপি। বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই পুরুলিয়ায় পঞ্চায়েতে দলের ভালো ফলের জন্য যেমন কর্মীদের উজ্জীবিত করলেন, তেমনই বিজেপিকেও তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী নির্বাচনগুলোতে পুরুলিয়া থেকে বিজেপি যেন একটি আসনও না পায়, কর্মীদের সেই মতো কাজ করারও নির্দেশ দিলেন নেত্রী।

পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কদের খোঁচা দিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, তৃণমূল ভোটে জেতার পর বাংলায় তো আর বিজেপি নেতাদের দেখাই পাওয়া যায় না। এরপরই পুরুলিয়ায় তৃণমূলের খারাপ ফলের জন্য দলের কর্মীদের ভুলকেই দায়ী করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এই নিয়ে বলতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘আমাদের হয়তো কিছু ভুল হয়েছিল। সেই কারণেই বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে আপনারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন। সেই কারণে আমরা জিততে পারিনি। মাত্র তিন জন জিতেছিলেন। আগামীদিন আমাদের কর্মীদের কোনও কাজ নিয়ে বিরোধীরা যদি অপপ্রচার করে মিথ্যে কথা বলে, কুৎসা রটায়, তাহলে মানুষ দেখতে পাচ্ছেন জেতার পর ওদের বিধায়ক ও সাংসদদের দেখা নেই। সবাই পালিয়ে গিয়েছেন। বিজেপি আর কোনও দেখা নেই। তৃণমূল ভোটে জেতার পর তো আর বাংলায় বিজেপি নেতাদের দেখাই পাওয়া যায় না। ২০১৯ লোকসভা ভোটে আমাদের ফল একটু খারাপ হয়েছে। তবে বিজেপি সরকার যতই চেষ্টা করো ২০২৪-এ আর হবে না। ২০২৪-এ বাংলায় বিজেপির নো এন্ট্রি।’

অতীতের সমস্ত ভুল শুধরে দলীয় কর্মীদের উন্নয়নের পথে হাঁটার বার্তাও এদিন দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাধারণ মানুষের সমস্যার, অভাব-অভিযোগ শুনতে হবে। মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। ব্লকে ব্লকে মিছিল করতে হবে। কর্মীদের উদ্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার কর্মীদের বলছি, কোনও অন্যায় করবেন না। তৃণমূলের কোনও কর্মী যদি অন্যায় করে তাহলে তাদের গালে আমি থাপ্পড় মারতে পারি। কারণ আমাদের সম্পর্ক ভাই বোনের মতো। নিচুতলার কর্মীরাই আসল নেতা। আদিবাসীরা কোথায় পাট্টা পাচ্ছে না দেখুন। সাইকেলে করে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। আগামীদিনে যেন এখান থেকে একটা আসনও বিরোধীরা না পায়।’

এদিনের কর্মীসভার মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শহরে যেমন রয়েছে, তেমনই ২০২৪ সালের মধ্যে পুরুলিয়ার সব বাড়িতে পাইপলাইন জল পৌঁছে যাবে। পাশাপাশি পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে শিল্পের জন্য ৭২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে বলেও জনিয়েছেন তিনি।