বাংলার খবর
প্রশাসনিক বৈঠক থেকে পুলিশের থেকে নাকা চেকিং নিয়ে কৈফিয়ৎ চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: অন্যান্য রাজ্য থেকে বেআইনিভাবে কয়লা, গরু গাড়িতে করে নিয়ে যেতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের বদনাম করছে বলে কিছুদিন আগেই অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জন্য রাজ্যের সমস্ত পুলিশ প্রশাসনকে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোয় কড়া নজরদারি ও নাকা চেকিংয়ের পাশাপাশি কয়লার গাড়ি রাজ্যে ঢুকতে না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার পুরুলিয়ার প্রশাসনিক বৈঠক থেকেও সেখানকার পুলিশ কর্তাদের থেকে নাকা চেকিং নিয়ে রীতিমতো কৈফিয়ৎ চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবার পুরুলিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে, পুরুলিয়ার আইসি সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঝাড়খন্ড বর্ডার রয়েছে। গাড়ির পাশ দিলেই টাকা? বর্ডার দিয়ে যখন বাড়ি ঢোকে তখন নাকা চেকিং হয়? অযোধ্যা পাহাড়কে যুক্ত করে যে ছ’টা রাস্তা করা হয়েছে সেখানে নাকা চেকিং হয়?’ তার উত্তরে আইসি বলেন, ‘২৪ ঘণ্টা নাকা চেকিং হয়। ষোলটা নাকা চেকিং পয়েন্ট আছে। ৩৮০ কিলোমিটার আন্তঃরাজ্য বর্ডার আছে। সব জায়গাতেই নাকা চেকিং হয়।’ সেই শুনে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ‘যে কোনও একটা ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যান কি যান না?’ তার উত্তরে পুলিশ আধিকারিক জানান, তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে যান।
উল্লেখ্য, গরু ও কয়লা পাচার নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই ও ইডি। সেই নিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার তলব করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলকেও এই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। সম্প্রতি দেশের সর্বোচ্চ আদালত ইডি কে কলকাতাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিয়েছে। সেই নিয়ে রীতিমতো, ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনই তিনি অভিযোগ করেছিলেন অন্যান্য রাজ্য থেকে কয়লা ও গরু নিয়ে যাওয়ার সময় কেন্দ্রীয় সরকারি রাজ্যের বদনাম করছে। পাশের রাজ্যগুলো থেকে বেআইনি অস্ত্র আসছে। তাই কেন্দ্রের কোনও কয়লার গাড়ি রাজ্যে ঢুকতে না দেওয়ার জন্য সীমান্তবর্তী এলাকার পুলিশ ও প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার সেই কারণেই পুরুলিয়ার পুলিশ আধিকারিকদের থেকে নাকা চেকিংয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কৈফিয়ৎ চাইলেন বলেই মনে করা হচ্ছে।