দুর্গাপুজা থেকে কালীপুজো এবারও মণ্ডপ থাকবে দর্শকশূন্য, জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : রাত জেগে ঠাকুর দেখার অনুমতি পাওয়া গেলেও এবারও মণ্ডপে ঢুকে ঠাকুর দর্শন করা যাবে না। মণ্ডপের বাইরে থেকেই ঠাকুর দর্শন করতে হবে দর্শকদের। এবারের পুজোতেও দর্শকদের মণ্ডপে ‘নো এন্ট্রি’র কথা আজ জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। করোনার সংক্রমণে পুজো মণ্ডপগুলিতে যাতে কোনও ভাবেই স্বাস্থ্যবিধি অমান্য না করা হয়, সেই দাবিতেই আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতেই আজ ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, গত বারের মতো এবারও মণ্ডপে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। কলকাতা হাই কোর্টের এই নির্দেশে কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার।

মহালয়ার আর পাঁচ দিন বাকি। কলকাতা-সহ রাজ্যের সর্বত্র পুজোর প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। এরই মধ্যে শুক্রবার একটি নতুন নির্দেশিকায় রাজ্য সরকারের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতকে জানান, মণ্ডপে দর্শকদের ‘নো এন্ট্রি’ রাখার নির্দেশ দিলে রাজ্য আপত্তি করবে না। দুর্গাপুজোর পাশাপাশি কালীপুজোতেও মণ্ডপে দর্শকদের প্রবেশের এই বিধি নিষেধ বলবৎ থাকবে। গত বছর অজয় দে নামে এক ব্যক্তির জনস্বার্থ মামলার নিরিখে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল, ১০ মিটারের মধ্যে কোনও দর্শক মণ্ডপে থাকতে পারবেন না।

পুজো পরিচালনার দায়িত্ব থাকা ২৫ জনই মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন। গতবার পুজোতে মণ্ডপগুলিতে তুলনামূলকভাবে ভিড় অনেক কম হয়েছিল। তাই এবারের পুজোতেও গতবারের বিধি বলবৎ রাখতে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। গত বারের ১৯ ও ২১ অক্টোবর দেওয়া নির্দেশ জারি রাখার আবেদন মেনে এ বারেও মণ্ডপে দর্শকদের ‘নো এন্ট্রি’র কথা জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে এ বার দুর্গাপুজো থেকে কালীপুজোর মণ্ডপ দর্শকশূন্য থাকতে চলেছে। গতকালই নবান্ন থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে রাজ্যে জারি থাকা করোনার বিধি-নিষেধ ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে ওই বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ১০ থেকে ২০ অক্টোবর পুজোর সময় নাইট কার্ফু শিথিল করার কথা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু আজ কলকাতা হাইকোর্ট এবং রাজ্য সরকারের নির্দেশের পর এবারও মণ্ডপের বাইরে থেকেই ঠাকুর দর্শন করে সন্তুষ্ট থাকতে হবে রাজ্যবাসীকে।