বিধানসভায় কৃষ্ণ কল্যাণী সহ চার বিধায়কের আসন বদল, মুকুল রায়ও পেলেন নতুন আসন
Connect with us

বাংলার খবর

বিধানসভায় কৃষ্ণ কল্যাণী সহ চার বিধায়কের আসন বদল, মুকুল রায়ও পেলেন নতুন আসন

Parama Majumder

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ:  রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আয়কর হানা এবং গুলি করে হত্যার হুমকির পরই বিধানসভায় কৃষ্ণ কল্যাণী সহ চার বিধায়কের আলাদা বসার জায়গা করা হল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জিতলেও পরে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় এবং বড়জোড়ার বিধায়ক তন্ময় ঘোষ তৃণমূলে যোগ দেন।

যদিও বিধানসভায় খাতায়-কলমে এখনও তাঁরা বিজেপির বিধায়ক। সেই কারণেই এত দিন তাঁরা বিধানসভায় বিজেপির বিধায়কদের জন্য নির্ধারিত আসনেই বসতেন। এখন থেকে তাঁরা সরকারপক্ষের বিধায়কদের দিকের বেঞ্চেই বসবেন। বুধবার বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে আয়কর হানা এবং গুলি করে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করে স্পিকারের কাছে পৃথকভাবে স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিশ আনেন ওই চার বিধায়ক। নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি বিধানসভায় তাঁদের আসন বদলেরও আবেদন স্পিকারের কাছে জানিয়েছিলেন চার বিধায়ক। সেই আবেদনের ভিত্তিতে এ দিন তাঁদের আসন বদল করার সিদ্ধান্ত নেয় বিধানসভা। কৃষ্ণ কল্যাণী বসতেন ৬ নম্বর আসন। তার বদলে এবার থেকে তিনি বসবেন ৭০ নম্বর আসনে। তন্ময় ঘোষের আসন ছিল ৬৩ নম্বর, বদলে হল ৭২।

সৌমেন রায়ের আসন সংখ্যা ছিল ৪৭ নম্বর, বদলে হল ৭১। বিশ্বজিৎ দাসের আসন ছিল ৫ নম্বর, বদলে হল ৬৯। সেই সঙ্গে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়ের আসনও বদল করা হয়েছে। মুকুল রায়ের আসন ছিল ৬৮ নম্বর। বদলে হয়েছে ৭৩। বুধবার বিধানসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকেই এই চার বিধায়কের সঙ্গে বিজেপি বিধায়কদের গন্ডগোল শুরু হয়। যখন শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় ভাষণ রাখতে ওঠেন, এই চার বিধায়ক বিজেপির দিকের আসনেই বসেছিলেন এবং সেখান থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের বিরুদ্ধাচারণ করছিলেন। বিজেপির অন্যান্য বিধায়করা তখন বিরক্ত হয়ে এই চার বিধায়ককে বার বার ইঙ্গিত করতে থাকেন, তৃণমূলের দিকে গিয়ে বসার জন্য। এই নিয়ে বিধানসভার ভিতরেই ওই চার বিধায়কের সঙ্গে বিজেপির বাকি বিধায়করা বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন।

Advertisement

আরও পড়ুন: CPIM-এর রাজ্য কমিটির সম্পাদক মহম্মদ সেলিম

এরপর মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ শুরু হওয়ার পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা ওয়াক আউট করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কৃষ্ণ কল্যাণীদের উদ্দেশ্যে আয়কর হানা ও গুলি করার হুমকি দেন বিরোধী দলনেতা। বুধবার কৃষ্ণ কল্যাণী অভিযোগ করেছিলেন, প্রত্যেক ক্ষেত্রে বিজেপি বিধায়কদের হই হট্টগোলের জন্য তাঁদের মতো নতুন বিধায়করা বিধানসভার কার্যকলাপ শিখতে পারছেন না।

আরও পড়ুন: শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিশ প্রিভিলেজ কমিটির কাছে পাঠালেন স্পিকার

Advertisement

কৃষ্ণ কল্যাণী অভিযোগ করেন, ‘বিরোধী দলনেতা সবসময় সদনকে ষড়যন্ত্র করে ভণ্ডুল করার চেষ্টা করেন। এর আগেও ঠিক একইভাবে আমাদের রাজ্যপালের ভাষণ শুনতে দেওয়া হয়নি। বুধবারও তেমনই একটি ষড়যন্ত্র ছিল যে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ উনি চলতে দেবেন না। সেই জায়গায় আমরা চারজন প্রতিবাদ করেছিলাম। আমরা এখানে তিনজন নতুন এবং প্রথমবারের বিধায়ক। বিধানসভার কার্যপ্রণালী সম্পর্কে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। বারবার যদি উনি বিধানসভা চলাকালীন ষড়যন্ত্র করে বিধানসভাকে যদি ভন্ডুল করে দেন, তাহলে আমরা শিখব কোথা থেকে! আমার বিধানসভার বাসিন্দারাও তো আমার কাছে প্রশ্ন করে যে বিধানসভায় গিয়ে আপনারা কী করলেন! বিধানসভায় আপনাদের কার্যকলাপ কী ছিল! আমাদেরও তো একটা দায়িত্ব রয়েছে। আমরা তাদের কী জবাব দেব? বারবার এইভাবে বিধানসভা বন্ধ করে দিলে কি রাজ্যের উন্নতি হবে? উনি কী চাইছেন! বিরোধী মানে কি সব কথায় বিরোধিতা করা? যদি পশ্চিমবঙ্গে উন্নয়নমূলক কাজ হয় তাহলে আমাদের তার সমর্থন করতে হবে। আর এই প্রশ্নগুলো তোলাতেই উনি সরাসরি সবার সামনে আমাকে আয়কর হানা ও গুলি করে প্রাণনাশের হুমকি দেন।’

Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.