বাংলার খবর
মিলল পোলিওর ভাইরাস, জরুরি বৈঠকে কলকাতা পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগ

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বহুদিন ধরেই পোলিওমুক্ত দেশ হিসেবেই গণ্য ভারত। সারা বছর ধরেই দেশে চলে পোলিও টিকাকরণ। বাদ নেই এই রাজ্যও। এর মধ্যেই খোদ কলকাতায় মিলল পোলিওর জীবাণু। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা কর্পোরেশনের ১৫ নম্বর বোরোর মেটিয়াবুরুজের নর্দমা থেকে মিলেছে লাইভ পোলিওর জীবণু। গত মার্চে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নজরদারি চলার সময়ই এই পোলিওর জীবাণু ধরা পড়ে। তবে কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ওই এলাকায় কারও পোলিও আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
স্বাভাবিকভাবেই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গোটা এলাকার মানুষ। এই ভাইরাস এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে কিনা তা নিয়ে রীতিমতো আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পোলিও যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য যথেষ্ট সতর্ক স্বাস্থ্য ভবন এবং কর্পোরেশন। জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে কলকাতা কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ জরুরি বৈঠকেও বসেছিল। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষও। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, কোনও ‘ইমিউনো ডেফিসিট’ শিশুকে পোলিও ভ্যাকসিন খাওয়ানো হয়েছিল। তার শরীরে গিয়েই ভাইরাসটি মিউটেট করে। তারপর খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগের ফলে ভাইরাসটি বাইরের পরিবেশে চলে আসে।
১৫ নম্বর বোরোর চেয়ারম্যান রঞ্জিত শীল জানিয়েছেন, করোনাকালে ওই এলাকায় ঠিকমতো টিকাকরণ ও পোলিও সচেতনতা কর্মসূচি হয়নি। সেই কারণেই এলাকায় পোলিওর জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই কর্পোরেশন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। পোলিও টিকাকরণ বাড়ানোর পাশাপাশি এলাকায় পোলিও সচেতনতার কাজও চলছে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের পর আবারও রাজ্যে পোলিওর জীবাণুর হদিস মিলল। ২০১১ সালে হাওড়ার পাঁচলায় দেশের শেষ পোলিও আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছিল। এরপর আবার ২০২২ সালে মেটিয়াবুরুজে মিলল পোলিওর জীবাণু। ২০১৪ সালেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভারতকে পোলিও মুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এখন যদি পশ্চিমবঙ্গের কোথাও কেউ যদি পোলিও আক্রান্ত হয়, তাহলে ভারতের ‘পোলিওমুক্ত দেশ’ এর তকমা ঘুঁচে যেতে পারে।