রাজনীতি
হাফ ডজন বিধায়ক নিয়ে এবার তৃণমূলের পথে মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী!
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে এবার ভিন রাজ্যের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীদেরও তৃণমূলে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। গোয়ার লুইজিনহো ফেলেইরোর পর এবার তৃণমূলের পথে ভিন রাজ্যের আরও এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী! কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পথে মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা। জানা গিয়েছে, মেঘালয়ের এই প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা খুব শীঘ্রই তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন। তবে তিনি শুধু একা নন, তাঁর সঙ্গে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের আরও এক ডজন কংগ্রেস বিধায়ক হাত ছেড়ে জোড়া ফুলে আসতে চলেছেন। বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা ২০১০ সাল থেকে ২০১৮, আট বছর মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
জানা গিয়েছে মাসখানেক আগেই সাংসদ ভিনসেন্ট পালাকে মেঘালয়ের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করা নিয়ে মুকুলের সঙ্গে দলে মতবিরোধ শুরু হয়। মুকুলের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা ছিলেন ভিনসেন্ট পালা। সেই কারণেই তাঁর দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছিল। তারপর থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন মুকুল। তবে মুকলই প্রথম নন। এর আগেও মেঘালয়ের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার পিএ সাংমাও তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। ২০০৪ সালে তিনি লোকসভা ভোটে তৃণমূলের হয়ে জয়লাভ করেছিলেন। যদিও তার পরের বছরই তৃণমূল ছাড়েন তিনি। তবে মুকুল ছেড়ে দিলে মেঘালয় কংগ্রেসের বড় ক্ষতি হবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
বছর তিনেক আগে মেঘালয়ের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডি ডি লাংপাং কংগ্রেস ছেড়ে রাজ্যের বর্তমান শাসক দল এনপিপি-তে যোগ দিয়েছেন। ২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেইসঙ্গে গোটা দেশে সবথেকে বড় মোদি বিরোধী মুখ হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত মাসেই অসম থেকে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষমোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা দেব তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন এবং বর্তমানে তিনি তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন।
শুক্রবারও তাঁর হাত ধরে অসমে কংগ্রেস এবং বিজেপি থেকে বেশ কয়েকজন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ত্রিপুরাতেও নিজেদের শক্তি বাড়াচ্ছে তৃণমূল। ত্রিপুরা কংগ্রেসের বড় নেতা সুবল ভৌমিক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। দু’দিন আগেই গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরোও তৃণমূলে যোগ দেন। ভিন রাজ্য থেকে অন্যান্য দলের নেতাকর্মীরা যেভাবে ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন তাতে জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্ব আরও বাড়ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।