দেশের খবর
তিক্ততা ভুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বিরোধী বৈঠকে যোগ দিচ্ছে কংগ্রেস!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে সমস্ত বিরোধীদের জোটবদ্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী ঐক্যকে মজবুত করতে এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করতে বুধবার দুপুর তিনটেয় দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে এক বৈঠকের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে বাম, কংগ্রেস-সহ দেশের সমস্ত বিরোধী দলের ২২ শীর্ষ নেতৃত্ব ও ৮ মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।
বামেরা সেই বৈঠকে যোগ দেবে বলে ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। কিন্তু কংগ্রেসের এই বৈঠকে যোগ দেওয়া নিয়ে একটা সংশয় তৈরি হয়েছিল। কংগ্রেস সূত্রে খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা এই বৈঠকে যোগ দেবে কংগ্রেস। করোনায় আক্রান্ত সোনিয়া গান্ধী। ইডি-এর জেরা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন রাহুল গান্ধীও। তাই কংগ্রেস সূত্রে খবর, বুধবারের এই তাৎপর্যপূর্ণ বৈঠকে কংগ্রেসের হয়ে উপস্থিত থাকতে পারেন বর্ষীয়ান নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে, জয়রাম রমেশ এবং রণদীপ সুরযেওয়ালা।
সম্প্রতি কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে, বিজেপি কে হঠাতে ব্যর্থ কংগ্রেস। গত ডিসেম্বরে মুম্বই সফরে গিয়ে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারে সঙ্গে সাক্ষাতের পর খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দাবি করেছিলেন, জাতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে কংগ্রেস। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘাত প্রকাশ্যে চলে আসে। রাজ্যের একাধিক ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকার এবং শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকেও। সম্প্রতি মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার বিক্রি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন বহরমপুর এর বর্ষীয়ান কংগ্রেস সাংসদ। যদিও অধীর রঞ্জন চৌধুরীর অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। গত গোয়া বিধানসভা নির্বাচনেও কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘাত সামনে এসেছিল। ফলে জাতীয় রাজনীতিতে দুই দলের মধ্যে সম্পর্ক তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। এইরকম একটা পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বিরোধী বৈঠকে কংগ্রেসের উপস্থিত থাকাটা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে জাতীয় রাজনৈতিক মহল।