বাংলার খবর
এক হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে সোনাপাতার দেব বাড়িতে পুজো হচ্ছে ১৮ বাহু দুর্গা

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : দশ হাত বলেই দুর্গার অপর নাম দশভূজা বলেই আমরা সকলে জানি। কিন্তু ৯৯৫ সালে জয়পুরের আরজারগড়ের রাজা বীর বাঁকুড়া রায় কেশপুরের জয়পুরে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ১৮ বাহু বিশিষ্ট মা দুর্গার। তৎকালীন বর্গী আন্দোলনের সময় তিনি দেব পরিবারের হাতে সপে দিয়েছিলেন এই পুজো। তারপর বর্গী আন্দোলনের সময় জয়পুর থেকে পালিয়ে গিয়ে দেব পরিবার কিছুদিন আশ্রয় নেয় চন্দ্রকোনা শহরে। চন্দ্রকোনা শহরে থাকার পর কেশপুরের কাঞ্চনতলায় গিয়ে দে পরিবারের গোমস্তাখানায় আশ্রয় পান দেবী।
পরবর্তীকালে কেশপুরের কাঞ্চনতলা থেকে উঠে আসে সোনাপাতা গ্রামে। আর স্থায়ীভাবে দেবীর মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয় সোনাপাতা গ্রামের দেব পরিবারে। দীর্ঘ কয়েক পুরুষ ধরেই দেব পযরিবারে পুজো হয়ে আসছেন ১৮ বাহুর মা। দেব পরিবারের সদস্য অশ্বিনী দেব জানাচ্ছিলেন, রীতি মেনে আজও মহালয়ার দিন থেকেই মা মহামায়ার পুজো শুরু হয়। ষষ্ঠী পুজোর দিন থেকে দেবীর বোধন হলে প্রতিদিন নিয়ম মেনে প্রতিদিন একেক দেবীর রূপে পূজিত হন মা দুর্গা। কখনও বা মা চন্ডী, কখনও বা মা ভবতারিণী, কখনও বা মা মহামায়া রূপে পূজিত হন উমা। দুর্গাপুজোর এই সময়কালে দেব পরিবারের পারিবারিক বৈশিষ্ট্য হল, পরিবারের কোনও সদস্য পুজোর কয়েক দিন বাড়ির বাইরে যেতে পারেন না, এটাই এখানকার রীতি। নবমীর দিনে পরিবারের সকলে মন্দিরে পণ্য-সেবা কেটে পুষ্পাঞ্জলি দেন। ষষ্ঠীর দিনে জ্বালানো প্রদীপের শিখা একই রকম ভাবে জ্বলতে ভাবে দশমীর দিন পর্যন্ত। শুধুমাত্র দুর্গাপুজোর এই পাঁচ দিন নয়, সারা বছরই মন্দিরে পূজিত হন এই ১৮ বাহু দূর্গা মা।