বাংলার খবর
চা ও বিশ্রামের জন্য সিপিএমের বুথ অফিসে ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : আজ সকাল থেকেই রাজ্য তথা গোটা দেশের নজর ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দিকে। এবার এই কেন্দ্র থেকেই লড়াই করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। প্রতিদ্বন্দিতা করছেন সিপিআইএমের শ্রীজীব বিশ্বাস।
হাইভোল্টেজ এই কেন্দ্রে গত সোমবার নির্বাচনী প্রচারে শেষ দিনে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে করতে গিয়ে ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজারে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রচার করতে বাধা দেওয়া হয় ব্যারাকপুরে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংকেও। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। গোটা ঘটনায় দু’জন বিজেপি কর্মী গুরুতর ভাবে আহত হন। তাই আজ ভোটের দিন ভবানীপুর কেন্দ্রে অশান্তির আশঙ্কা রয়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই ভবানীপুর কেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। অতিরিক্ত কুড়ি কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে। তবে সকাল থেকেই মোটের ওপর শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে এই কেন্দ্রে। দু-একটা ছোটখাটো ঘটনা ছাড়া সেই ভাবে অশান্তির কোনও খবর এখনও পর্যন্ত নেই। তারই মাঝে এক অন্য চিত্র ধরা পরল।
সাম্প্রতিক সময়ে ভেদাভেদ অহিংসার রাজনীতি মধ্যেই সমস্ত রাজনৈতিক বিভেদকে দূরে সরিয়ে রেখে সিপিএমের ক্যাম্প অফিসে গিয়ে চা খেলেন ও বিশ্রাম নিলেন তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট নেতা ফিরহাদ হাকিম ও মদন মিত্র। আজ সকালে ভবানীপুরে ভোট তদারকিতে বেরিয়ে হঠাৎই চেতলায় সিপিএমের ক্যাম্প অফিসে হাজির হন ফিরহাদ হাকিম। সেখানে বসে বাম কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে গল্প করার পাশাপাশি ভাঁড়ে চা’ও খান তিনি। মন্ত্রীকে বলতেও শোনা যায়, ‘চায়ে চিনি দিয়েছ তো?’ তিনি বলেন, ‘সবই আমরা পাড়ার ছেলে। আমাদের মধ্যে অন্য সম্পৰ্ক আছে।’ একই কথা বলতে শোনা যায় ক্যাম্পে উপস্থিত সিপিএম নেতাকেও।
আজ ভবানীপুরের উপনির্বাচনকে ঘিরে সিপিএমের সঙ্গে তৃণমূলের ‘চায় পে চর্চা’ এখানেই শেষ নয়। তার কিছুক্ষণ পরে সিপিএমের বুথ অফিসে হাজির হন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। গায়ে লাল টিশার্ট, চোখে ব্রাউন সানগ্লাস পরে রাস্তায় ঘোরার সময় বিশ্রাম নেওয়ার জন্য সিপিএমের বুথ অফিসের ছাতার তলায় গিয়ে বসে পড়েন। তারপরই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিজেপিকে কটাক্ষ করার পাশাপাশি সৌজন্যের বার্তা দিয়ে মদন মিত্র বলেন, ‘এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এলাকা। কী আছে! সবাই একই পাড়ার ছেলেপুলে। ওরা সুন্দর ছাতা লাগিয়েছে, ছায়া আছে। সবাই বসলাম একটু। ভবানীপুর মানে হচ্ছে, নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান। এটা ভবানীপুর, গুজরাত নয়। এখানে মানুষ শান্তিপূর্ণভাবেই নিজেদের ভোটাধিকার নিজেরাই প্রয়োগ করেন। আজও এখানে গন্ডগোল নেই। কোনও সমস্যা হয়নি। শান্তিতেই ভোট হচ্ছে। আর টুকটাক যে ঝামেলা হচ্ছে, তা বন্ধ করার দায়িত্ব তো পুলিশ প্রশাসনের।’