দেশের খবর
কৈখালীতে বিমানবন্দর লাগোয়া রঙের কারখানায় আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ১৭ ইঞ্জিন

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: নতুন বছরেই আগুনে ভস্মিভূত হল একটি রঙের কারখানা। কৈখালীতে বিমানবন্দরের পাশে একটি রঙের কারখানায় আগুন লাগে। যেহেতু রঙের কারখানা, প্রচুর দাহ্য পদার্থ ও রাসায়নিক থাকায় তাই আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে।
কারখানায় মজুত থাকা রাসায়নিক ভর্তি ড্রামেও একের পর এক বিস্ফোরন হতে থাকে। রঙের কারখানা থেকে ওই আগুন পাশের কারখানাতেও ছড়িয়ে পড়ে বলে স্থানীয়দের দাবি। গোটা এলাকায় ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। বিমানবন্দর লাগোয়া এলাকায় ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ায় বিমান ওঠানামায় সমস্যা হতে পারে বলে দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের। খবর পেয়েই ঘটনাস্টলে ছুটে আসে এনডিআরএফ-এর দল। এই রঙের কারখানার পাশেই ছিল প্লাস্টিক ও পোষাক তৈরির কারখানা। ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়লে বিপদ অনিবার্যে। আগুন লাগার পরই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দরের মধ্যে থেকেই অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। খবর দেওয়া হয় দমকল বাহিনীকে। প্রথমে দু’টি ইঞ্জিন দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা হলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় পরে আরও তিনটি ইঞ্জিন পৌঁছয় ঘটনাস্থলে।
এই মুহূর্তে দমকলের ১৭ টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ করছে। দমকল বাহিনী এবং স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে এসেছে। তবে আগুন এখনও পুরোপুরি নেভেনি। ঘিঞ্জি ও সঙ্কীর্ণ এলাকা হওয়ায় আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়েছেন দমকল অধিকারিকেরা।ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ও স্থানীয় বিধায়ক অদিতি মুন্সী। ঠিক কী কারণে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। শর্টসার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক অনুমান দমকলের। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও এক নিরাপত্তা রক্ষীর ভিতরে আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাজারহাট-গোপালপুরের বিধায়ক অদিতি মুন্সী জানিয়েছেন, ‘দমকল বাহিনী যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে। আগুন এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন সম্পূর্ণরূপে নিভিয়ে ফেলা সম্ভব হবে। কী থেকে আগুন লাগল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার আমরা নেব। পাশে প্রচুর জনবসতি রয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য যা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন আমরা নেব।’