জেনে নিন এই খাবারগুলি থেকে বেশি ক্যালোরি পাওয়া
Connect with us

লাইফ স্টাইল

জেনে নিন এই খাবারগুলি থেকে বেশি ক্যালোরি পাওয়া

অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে। যাদের ওজন কম শরীর রোগা তাদের জন্য উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া দরকার। তবে সকলের ক্ষেত্রেই একই পরিমাণ ক্যালরি প্রযোজ্য নয়।

Dwip Narayan Chakraborty

Published

on

প্রতিদিন দেহে কি পরিমান ক্যালরির প্রয়োজন
Rate this post

স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিবেদন  –  ক্যালোরি হচ্ছে খাদ্যের মৌলিক একক শক্তি। প্রতিটি খাবার থেকে কম বেশি ক্যালোরি পাওয়া যায়। অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে। যাদের ওজন কম শরীর রোগা তাদের জন্য উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া দরকার। তবে সকলের ক্ষেত্রেই একই পরিমাণ ক্যালরি প্রযোজ্য নয়। বয়স লিঙ্গ ওজন পরিশ্রম ভেদে শরীরে ক্যালরির পরিমাণের ভিন্নতা রয়েছে।

উচ্চমাত্রার ক্যালোরি– উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার সম্পর্কে জানা-অজানা তথ্য নিয়েই আজকের আলোচনার মূল বিষয় । অর্থাৎ কোন কোন খাবারে হাই ক্যালরি পাওয়া যায় সে সম্পর্কে আজকে আপনাদের অবগত করার চেষ্টা করব।

পনির

  • উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি খাবার হচ্ছে পনির। প্রতি ১০০ গ্রাম পনির থেকে ২৩ শতাংশ ক্যালোরি পাওয়া যায়। এছাড়াও পনিরের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম যা দেহকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি হারকে মজমুত রাখতে সহায়তা করে। পনিরের উচ্চমাত্রায় ক্যালোরি থাকে যার কারণে এটি শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

চিনা বাদামের মাখন

  • উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবারের মধ্যে চিনা বাদামের মাখন অন্যতম একটি খাবার। সাধারণ মাখনেও ক্যালোরি থাকে কিন্তু চিনা বাদামের মাখন এ হাই ক্যালরি পাওয়া যায়। চীনা বাদামের মাখন রয়েছে প্রোটিন ফাইবার স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট।

ফাস্টফুড

  • অনেকেই ফাস্টফুড বা জাঙ্ক ফুড খেতে খুবই পছন্দ করে। যদিও ফাস্টফুড বাদ জাঙ্ক ফুড শরীরের জন্য খুব স্বাস্থ্যকর খাবার নয়। যাদের শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি প্রয়োজন তারা এ ধরনের খাবার খেতে পারে তবে সেটা অবশ্যই পরিমাণ মতো খেতে হবে। এই খাবারগুলোর প্রতি ১০০ গ্রাম পন্যতে ৫৬০ ক্যালরি থাকে। যা একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের শরীরের জন্য মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। তাই এই হাই ক্যালরিযুক্ত ফাস্টফুড খাবার পরিমানে কম খাওয়া উচিত যাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ ওজন বেশি তাদের এই সমস্ত খাবার বাদ দেওয়া জরুরী।

বিভিন্ন ধরনের ভাজা খাবার

  • ক্যালরিযুক্ত খাবার গুলোর মধ্য তেলে ভাজা খাবার কোন অন্যতম। বেশিরভাগ তেলে ভাজা খাবার এই অতিরিক্ত ক্যালরির উপস্থিতি বিদ্যমান। যেমন বিভিন্ন ধরনের চিকেন ফ্রাই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বিভিন্ন ধরনের চপ এছাড়াও অনেক ধরনের ভাজা খাবার রয়েছে যা শরীরে উচ্চমাত্রার ক্যালরি দিয়ে থাকে। এসব ভাজা খাবারের প্রতি ১০০ গ্রামে ৪০০ ক্যালরি পাওয়া যায় যা উচ্চমাত্রার ক্যালরির অন্তর্ভুক্ত।

বিভিন্ন ধরনের বাদাম

  • সাধারণত অনেকেই ডায়েটে বিভিন্ন ধরনের বাদাম খেয়ে থাকেন ওজন কমানোর জন্য কিন্তু একটি কথা অনেকেরই অজানা যে এসব বাদামেও ক্যালোরির পরিমাণ অনেক বেশি। আখরোট কাঠ ও কাজুবাদামে ১০০ গ্রামে‌ ৪৬২ ক্যালোরি থাকে। যা অবশ্যই উচ্চমাত্রার ক্যালোরি হিসেবে বিবেচিত।

মাছ মাংস

  • অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় মাছ ও মাংস তে উচ্চমাত্রার ক্যালরি থাকে। সাধারণত মাছ মাংস তে প্রোটিন ও আমিষের ভাগ বেশি থাকে যার কারণে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে প্রতিদিন মাছ-মাংস খাদ্য মেনুতে রাখা উচিত। কিন্তু বিভিন্ন ধরনের মাছ ও মাংস তে তেল চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে যার কারণে এতে উচ্চমাত্রার ক্যালরি পাওয়া যায় যেমন চর্বিযুক্ত  খাসির মাংস রুই মাছ চিংড়ি মাছ ইলিশ মাছ।

ডার্ক চকলেট

  • চকলেটে ক্যালরির পরিমাণ বেশি থাকে একথা কমবেশি সবারই জানা। তবে ডার্ক চকলেটে উচ্চমাত্রায় ক্যালোরি থাকে যদিও এটি  একেবারে বাদ দেওয়া উচিত নয়। মাঝে মাঝে ক্যালরির মাত্রা কমে গেলে ডার্ক চকলেট ক্যালরি অভাব পূরণ করে থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম ডার্ক চকলেটে ৫০১ ক্যালরি পাওয়া যায়।

কেক পেস্ট্রি মিষ্টি

  • অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার গুলোর মধ্যে কেক পেস্ট্রি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো অন্যতম। মিষ্টি কেক বা পেস্ট্রি থেকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি পাওয়া যায় তাই যারা নিয়মিত ওজন কমাতে চান তাদের জন্য এই ধরনের খাবার সম্পূর্ণ বাদ দিতে হয়। বেশিরভাগ দেখা যায় কেক বা প্রেস্ট্রিতে হুইপ ক্রিম ব্যবহার করা হয়ে থাকে যাতে থাকে অতিরিক্ত চর্বি যা ক্যালরির মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়।

বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি

  • সাধারণত সব ধরনের শাকসবজিতে ক্যালোরি পাওয়া যায় তবে ক্যালরির ভিন্নতা রয়েছে। অনেক শাকসবজিতে উচ্চমাত্রায় ক্যালোরি পাওয়া যায়।

 

পানীয়

  • বিভিন্ন ধরনের শরবত জুস কৃত্রিম উপায়ে তৈরি তরল পানীয় থেকেও ক্যালরি পাওয়া যায়। কোন কোন পানীয়তে ক্যালরির পরিমাণ অত্যধিক থাকে। কোমল পানীয় শরীরের জন্য অনেক সময় উপকারী। শরীরকে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ করে গরম সিজনে কোমল পানীয় বেশি খাওয়া হয়ে থাকে।
  • তবে হ্যাঁ শরীরের কথা মাথায় রেখে অবশ্যই কোমল পানীয় খাওয়া উচিত। সব ক্ষেত্রে যে কোমল পানি ও শরীরকে চাঙ্গা করে তা নয় এতে অতিরিক্ত ক্যালরির উপস্থিতি অনেক সময় শরীরকে অসুস্থ করে।
  • ক্যালরি অবশ্যই শরীরের জন্য প্রয়োজন তবে কোন ব্যক্তির শরীরে কি পরিমানে ক্যালরি প্রয়োজন তা জেনে বুঝে অবশ্যই ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে নতুবা অতিরিক্ত ক্যালোরি শরীরে মেদ বাড়ানোর পাশাপাশি অন্যান্য রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

ক্যালোরি কি?

আমরা যে সকল খাবার গ্রহণ করি তা থেকে সাধারণত যেসব শক্তি লাভ করি তাই মূলত ক্যালোরি। শরীরের যদি ক্যালরির ভারসাম্য ঠিক না থাকে তাহলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে শরীরকে সুস্থ রাখতে শরীরে প্রয়োজনীয় ক্যালরির মাত্রা ঠিক রাখতে হবে।

Advertisement

প্রতিদিন দেহে কি পরিমান ক্যালরির প্রয়োজন?

সকলের দেহে একই রকম ক্যালরির প্রয়োজন হয় না। একজন শিশুর দৈনন্দিন ঘরে প্রায় ১০০০ ক্যালোরির খাবার খাওয়া প্রয়োজন। কিশোর-কিশোরীদের শরীরে ক্যালরি যুক্ত খাবারের প্রয়োজন ৩২০০ ক্যালোরি । প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ক্যালরিযুক্ত খাবারের প্রয়োজন হয় ২০০০ থেকে ৩০০০ এর মতো। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার দৈনন্দন ১৬০০ থেকে ২৪০০ ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত। বয়স্কদের ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে ক্যালরি চাহিদা কমতে থাকে এ সময় যত কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া যায় ততই শরীরের জন্য উপকার।

আরোও পড়ুন – একজন সিজারিয়ান মায়ের খাবার তালিকা

Advertisement
Continue Reading
Advertisement
Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.