বাংলার খবর
অবশেষে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেন রতন মালাকার
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: অবশেষে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেন ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী রতন মালাকার। বৃহস্পতিবারই দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস কুমার হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়ে দিয়েছিলেন, টিকিট না পেয়ে যাঁরা নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন, তাঁরা যদি ৪ তারিখের মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাহার না করেন, তাহলে দল কড়া ব্যবস্থা নেবে।
আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার কলকাতা পুরভোটে মনোনয়ন প্রত্যাহার করার শেষ দিন। কিন্তু শেষ দিন পর্যন্ত আর অপেক্ষা করলে না তৃণমূলের ২০ বছরের তৃণমূল কাউন্সিলর রতন মালাকার। শুক্রবারই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেন তিনি। গত শুক্রবার কলকাতা পুরভোটের জন্য ১৪৪ টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে তৃণমূল। সেখানে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীর নিজের ওয়ার্ড অর্থাৎ ৭৩ নম্বরে বিদায়ী কাউন্সিলর রতন মালাকারের জায়গায় প্রার্থী করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাতেই বিক্ষুব্ধ হয়ে বুধবার নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন রতন মালাকার। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, রতন মালাকারকে বোঝাতে আসরে নামেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি রতন মালাকারের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাতেই বরফ গলে।
এবং মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রতন মালাকার। শুধু তাই নয়, কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে তিনি প্রচারও নামবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর তিনি বলেছেন, ‘আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। দলের সৈনিক ছিলাম। এখনও আছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই আজ আমি এই জায়গায় আসতে পেরেছি। দলের শীর্ষ নেতারা আমাকে বুঝিয়েছেন।
দল যে দায়িত্ব দেবে, তা পালন করবো। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে আমাদের প্রার্থী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারেও নামব।’ তবে তনিমা চট্টোপাধ্যায় ও সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় কী করেন সেটাই দেখার। ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায়কে প্রথমে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। পরে ওই ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়কে আবার প্রার্থী করা হয়। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন তনিমা চট্টোপাধ্যায়। এদিকে ৭২ নম্বর ওয়ার্ডে টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়।