বাংলার খবর
মাঠ-মিডডে মিল সবই রয়েছে, তবুও পড়ুয়াশূন্য চন্দননগরের একাধিক প্রাথমিক স্কুল
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: চন্দননগর চক্রের বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেহাল দশা। স্কুল বিল্ডিং থেকে খেলার মাঠ, সমস্ত পরিকাঠামো থাকলেও দেখা নেই ছাত্র-ছাত্রীর। এমনই অবস্থা চন্দননগরের প্রায় দশটি স্কুলের। কোথাও দু’জন কোথা ও বা আটজন ছাত্র-ছাত্রীর দেখা মেলে স্কুলে। শিক্ষক ও মিডডে মিল, সব কিছুই রয়েছে পড়ুয়াদের জন্য। তবুও সরকারি স্কুলের এই কঙ্কালসার দশায় চিন্তিত শিক্ষক থেকে অভিভাবকরা।
শিক্ষকদের দাবি, অধিকাংশ অভিভাবক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলমুখী হওয়ায় ছাত্র সংখ্যা কমেছে। সেই সঙ্গে যে সব স্কুলে প্রাক প্রাইমারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা হয়, সেই সব স্কুলে পড়ুয়া ভর্তির প্রবণতা বেশি। তবে অভিভাবকদের দাবি, সরকারি প্রাথমিক স্কুল গুলিতে শিক্ষক সংখ্যা কমেছে। পড়াশোনার মান নিন্মমুখী হওয়ার কারণে অভিভাবকরাও উৎসাহ হারাচ্ছেন।
এর মধ্যে আশার আলো দেখা যাচ্ছে পৌর নিগম পরিচালিত স্কুল গুলির মধ্যে। ইংরেজি মাধ্যম হোক বা বাংলা মাধ্যম, সবেতেই ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। এবিষয়ে চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেছেন, জনসংখ্যার অনুপাতে ইংরেজি ও বাংলা মাধ্যম স্কুলের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। সরকারের তরফ থেকে যদি বিশেষ নজরদারি করা হয়, তাহলে হাল ফিরবে এই স্কুল গুলির। স্কুল পরিদর্শকের দাবি, সমস্ত বিষয়ের উপর নজর রাখা হয়েছে। খুব খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়নি চন্দননগরের স্কুল গুলিতে।
চন্দননগর চক্রের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭২। তার মধ্যে প্রায় ২০ স্কুলের ছাত্র ও শিক্ষকের সংখ্যা তলানিতে এসে ঠেকেছে।সাধুচরন স্মৃতি বিদ্যাপীঠের ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ৫ জন। পার্শ্ব শিক্ষক নিয়ে এই স্কুলের মোট শিক্ষকের সংখ্যা তিন।কিছুদিন আগেই সেই খবর করা হয়েছিল বেঙ্গল এক্সপ্রেসে। পিসি সেন আদর্শ শিক্ষালয়ের পড়ুয়ার সংখ্যা ৭ হলেও নিয়মিত আসে ৪ জন।এই স্কুলেও পার্শ্ব শিক্ষক নিয়ে মোট শিক্ষিকার সংখ্যা তিন।নিরঞ্জন নগর জিএসএফপি প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা ৫ হলেও নিয়মিত আসে দু’জন। শিক্ষক সংখ্যা দু’জন। মহাডাঙ্গা সুভাষ বিদ্যামন্দির প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা ৯। শিক্ষিকার সংখ্যা ২। দশভূজা প্রাথমিক বিদ্যালয়, সারদা প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিধান স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মানকুণ্ডু গড়ের ধার জিএসঅফপি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিতেও দীর্ঘদিন ধরেই এমনই হাল চলে আসছে।