বাংলার খবর
ইঞ্জেকশনের ভয়ে ডাক্তারখানা থেকে চম্পট দিলেন রোগী, পরে মৃতদেহ মিলল পাশের সরকারী কৃষি ফার্ম থেকে

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: সরকারী কৃষি ফার্মের ভিতর থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়া শহরে। মৃতের নাম সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (৪৫)। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় থানা এলাকার লক্ষ্যাবাদ গ্রামে। মৃতের পরিবার জানিয়েছে, শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ের লক্ষ্যাবাদ গ্রামের বাসিন্দা, মানসিক ভারসাম্যহীন সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাঁকুড়া শহরের এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসা হয়।
সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক যখন ইঞ্জেকশন দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন ঐ রোগী হঠাৎই দৌড়ে পালিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাঁর সন্ধান মেলেনি। পরে রবিবার সকালে নতুনচটির সরকারী কৃষিফার্মের জঙ্গলের ভিতর থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মৃতের আত্মীয় সমীর চক্রবর্ত্তী জানিয়েছেন, পেশায় প্রাইভেট টিউটর সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর সাংসারিক অশান্তি চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। এমনকী সন্দীপকে মারধর পর্যন্ত করতেন। এই নিয়ে আগে একাধিকবার থানা-পুলিশ হয়েছে। গত তিন-চার দিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সন্দীপ। অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন। তাই শনিবার চিকিৎসার জন্য তাঁকে বাঁকুড়ায় আনা হয়েছিল। চিকিৎসক ইঞ্জেকশন দিতে গেলেই সেখান থেকে চম্পট দেন সন্দীপ। সমীর চক্রবর্ত্তী বলেছেন, ‘আমরা সাত-আট জন মিলে সন্দীপকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে এসেছিলাম।
চিকিৎসক ওকে পরীক্ষা করার পরই একটা ইঞ্জেকশন দিতে যায়। তখনই ও ডাক্তারখানা থেকে পালিয়ে পাশের সরকারি কৃষি ফার্মের পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকে পড়ে। আমরা সকলে মিলে সন্ধে পর্যন্ত ওর খোঁজ করি সেখানে। কিন্তু খুঁজে পাওয়া যায়নি। আজ সকালে ফার্মের ভিতরের জঙ্গল থেকে ওর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। কিভাবে মৃত্যু হল বুঝতে পারছি না।’