চাহিদার অভাব, কালের নিয়মে হারাতে বসেছে বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি
Connect with us

বাংলার খবর

চাহিদার অভাব, কালের নিয়মে হারাতে বসেছে বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: আজও আছে, বাঙ্গিটোলার বিখ্যাত মণ্ডা। তবে হয়তো আর বেশি দিন মিলবে না। শুধু ছানা আর চিনির একটা আনুপাতিক মিশ্রণ।সঙ্গে পরিমাণমতো ক্ষীর আর সামান্য এলাচগুঁড়ো। তার সঙ্গেও যদি কিছু মেশাতে হয়,তা হল ভক্তি,নিষ্ঠা আর সংস্কার।

এই উপকরণে তৈরি হয় মালদার ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন মিষ্টি ‘বাঙ্গিটোলার মণ্ডা’। প্রায় ১০০ বছরের কাছাকাছি সময় পেরিয়েও শেষ হয়ে যায়নি তার ঐতিহ্য। অন্যান্য দেবস্থানের মণ্ডার মতো এই মিষ্টি শক্ত নয় বা এতে চিনির প্রাধান্য নেই। নেই ময়দার মিশ্রণও। স্বাদ অনেকটা কাঁচা সন্দেশের মতো-আর এই স্বাদই তাকে বিশেষ বিশিষ্টতা দিয়েছে।

আরও পড়ুন: নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ, কাঠগড়ায় পুলিশের কনস্টেবল

Advertisement

মালদার কালিয়াচক-২ নম্বর ব্লকের গঙ্গা তীরবর্তী প্রাচীন মৈথিল গ্রাম বাঙ্গিটোলা। সেখানকার ঐতিহ্যবাহী মুক্তকেশী মন্দির সংলগ্ন দোকানগুলিতে এখনও পাওয়া যায় এই মিষ্টি। তবে কতদিন পাওয়া যাবে তা বলতে পারেন না বিক্রেতারা। কেননা নতুন প্রজন্ম মজেছে রকমারি আইটেম মিষ্টিতে।চাহিদা হারিয়েছে মণ্ডা।মণ্ডার কারিগরও অমিল-তাই কাচের শোকেসের এক কোনায় অভিমানে পড়ে থাকে এই ঐতিহ্যশালী প্রাচীন মিষ্টি। এই গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, ”প্রায় ৭০-৮০ বছর আগে এখানকার বাসিন্দা ইন্দুভূষণ ঝা এই মিষ্টি বানানো আরম্ভ করেন।” 

আরও পড়ুন: নিমন্ত্রণ হয়নি সাধের অনুষ্ঠানে, বিদ্যালয়ের মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়ালেন শিক্ষিকারা

এটি মূলত পূজাকেন্দ্রিক মিষ্টি। অর্থাৎ সারাবছর বানানো হলেও পূজা-পার্বনে এই মিষ্টির চাহিদা বেশি। মৈথিল জনজাতি বিষয়ক গবেষকরা বলেন বাঙ্গিটোলার বিখ্যাত মুক্তকেশী মায়ের পুজোর ১০০টা ডালার মধ্যে অন্তত ৯০ টিতে এখনও অনিবার্য এই মিষ্টির উপস্থিতি। যুগ পরিবর্তনেও ম্লান হয়ে যায়নি এই ঐতিহ্য।
ভক্তি,বিশ্বাস এবং লৌকিকত্বের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এই মিষ্টি অমর হয়ে আছে আধুনিক বাংলা সাহিত্যেও।

Advertisement