আন্তর্জাতিক
ভাইরাসে অশনিসঙ্কেত! করোনার পর মাঙ্কিপক্সে আতঙ্ক ব্রিটেনে

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ‘একে রামে রক্ষা নেই, সুগ্রীব দোসর’! এখনও গোটা পৃথিবী থেকে মুছে যায়নি করোনা মহামারীর রেশ। অদৃশ্য এই ব্যাধির দাপট মাঝে কিছুটা স্তিমিত হয়ে গেলেও, ফের বিশ্বের বেশকিছু দেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে Covid19 সংক্রমণ।
অব্যাহত করোনা অতিমারির দাপট। আর এই দাপটের মাঝে নতুন করে ভয় ধরাতে শুরু করেছে ‘Monkeypox’। ভাইরাল এই মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ধরা পড়েছে ব্রিটেনের বেশকিছু দেশে। তবে শুধু ব্রিটেন নয়, পর্তুগাল এবং স্পেনেও মিলেছে এই ব্যাধির সংক্রমণ। যারফলে করোনা মহামারীর মধ্যে নতুন করে এই ভাইরাস নিয়ে জনমানষে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
কী এই মাঙ্কিপক্স? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মাঙ্কিপক্স হল একধরণের ভাইরাস ঘটিত রোগ। যা প্রায় বিরল। এর আগেও এই রোগের খোঁজ মিলেছিল কঙ্গো অববাহিকা অঞ্চল এবং আফ্রিকা মহাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে। কোনও মানুষের শরীরে এই রোগের সংক্রমণ ধরা পড়লে এর উপসর্গ হিসেবে প্রথমে জ্বর-জ্বর ভাব এবং গায়ে লাল-লাল র্যাশ, ফুঁসকুড়ি বেরোতে দেখা যায়। এই ভাইরাসের দুটি স্ট্রেন রয়েছে। যারমধ্যে কঙ্গো স্ট্রেন, যার মৃত্যুহার ১০ শতাংশ পর্যন্ত এবং আরও গুরুতর। অন্যটি হল পশ্চিম আফ্রিকান স্ট্রেন, যার মৃত্যুর হার এক শতাংশের মতো বেশি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে কলেরার প্রাদুর্ভাব, হাসপাতালে ভর্তি প্রায় ২ হাজার শিশু
চলতি বছরের আগে এটি অতীতে মাত্র আটবার ঘটেছে বলে জানিয়েছেন লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্যের অধ্যাপক জিমি হুইটওয়ার্থ। তিনি বলেন যে, ”ভয়ের কিছু নেই। এটি অত্যন্ত অস্বাভাবিক”। তিনি আরও জানান, পর্তুগাল এখনও পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সের পাঁচটি কেস সামনে এনেছে এবং স্পেনে ২৩ টি সম্ভাব্য কেস পরীক্ষা করছে। যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে মাঙ্কিপক্সের যে স্ট্রেনটি ধরা পড়েছে সেটি পশ্চিম আফ্রিকার স্ট্রেন।
কীভাবে ছড়াচ্ছে এই রোগ? ভাইরাস ঘটিত এই রোগ আক্রান্ত মানুষের সংস্পর্শে অন্য কোনও সুস্থ লোক এলে তাঁকেও সংক্রামিত করে দেয়। এই রোগ প্রথম ১৯৫৮ সালে বানরদের মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল তাই এই নাম। যদিও ইঁদুরদের মধ্যেও এখন এই সংক্রমণের প্রধান উত্স হিসাবে দেখা হয়।
আরও পড়ুন: টানা ২ বছর পর চালু হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ ‘মৈত্রী-বন্ধন’
এদিকে চলতি মে মাসের ১৮ তারিখ ব্রিটেনে সর্বপ্রথম এই রোগের সংক্রমণ ধরা পড়ে। জানা গিয়েছে, যার দেহে এই ভাইরাসের হদিশ মিলেছে তিনি সম্প্রতি নাইজেরিয়া থেকে ঘুরে দেশে ফিরেছেন। শুধু তাই নয়, বায়ুবাহিত এই রোগের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে ব্রিটেনের স্বাস্থ্যবিদরা কোনও ভাবে গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে সেই দিকে নজর দিয়েছেন।