রাজনীতি
শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে বহিস্কৃত হাওড়ার বিজেপি নেতা
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : গত বিধানসভা নির্বাচনে এবং তারপর ৭ কেন্দ্রে উপনির্বাচনে তৃণমূলের কাছে পর্যুদস্ত হতএ হয়েছে। একের পর এক বিধায়ক দল ছাড়ছেন। এছাড়া বিভিন্ন নেতাদের মধ্যে ঝামেলা বিজেপি দলের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
দলবদ্ধ নয়, এক নেতা আরেক নেতার বিরুদ্ধে মিডিয়ার সামনে মন্তব্য করে দলকে বিড়ম্বনায় ফেলে দিচ্ছেন। একের পর এক বিবৃতিতে অস্বস্তিতে পড়ছে দল। তারই মধ্যে আরও এক অস্বস্তিকর খবর সামনে এল বিজেপির জন্য। এবার এই অস্বস্তির কারণ হাওড়া জেলা। গতকালই কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার ভোটের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে। তার আগেই এই খবর বিজেপির অস্বস্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নারদ কাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তোপ দাগতেই দলের রোষানলে পড়তে হল হাওড়া সদরের বিজেপি সভাপতি সুরজিৎ সাহাকে। পত্রপাঠ দল থেকে বহিষ্কৃত করা হল তাঁকে। বুধবার দলের তরফে একথা স্পষ্ট করা হয়েছে।
পুরভোটের প্রাক্কালে দলের বহু পুরোনা কর্মী সুরজিৎ সাহাকে বহিষ্কারের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে দলের অন্দরমহলে। হাওড়া পুরভোট পরিচালনার জন্য মঙ্গলবার বিজেপির তরফে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটিতে জেলার ২৩ জনকে ডাকা হয়েছিল। যাদের সিংহভাগই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করেছেন বিভিন্ন সময়ে। সেই কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন হাওড়া প্রাক্তন মেয়র তথা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া রথীন চক্রবর্তী। এতেই আপত্তি জানান সুরজিৎ সাহা।
তিনি স্পষ্ট বলেছিলেন, ‘তৃণমূলের বি টিমের অধীনে কাজ করব না। আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি করছি। যে নিজের ওয়ার্ডে, নিজের বুথে জিততে পারে না, ভোটের সময় যার বাড়ির সামনে প্ল্যাকার্ডে সাধারণ মানুষ চুনকালি মাখিয়ে দেয়, তার সঙ্গে আমি কাজ করতে পারব না। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে আসা নিজের পছন্দের লোকেদের নিয়ে কমিটি গড়েছেন। এটা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।’ শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে সুরজিৎ সাহার আরও বলেছেন, ‘নারদকাণ্ডে উনাকে যে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে তাতে উনি সৎ কি না, এই প্রশ্ন দলের কার্যকর্তা থেকে শুরু করে আমজনতার মধ্যেই রয়েছে।’ এহেন মন্তব্যের ঘন্টাখানেকর মধ্যেই বহিষ্কৃত করা হয় জেলার ‘বিদ্রোহী’ সদর সভাপতিকে।