বাংলার খবর
বাড়ন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা, বাতিল পরীক্ষা
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ফের করোনার চোখ রাঙানি। অনিদির্ষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল জলপাইগুড়ি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হল প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষাও।
উল্লেখ্য, রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী ৷ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা৷ করোনার থাবা জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজেও৷ ওই কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ৬ জন ছাত্র করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তার জেরেই স্থগিত হলে গেল কলেজের সমস্ত পরীক্ষা। কয়েক দিন আগে কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের দুই ছাত্রের জ্বর-সর্দি হয়৷ প্রথমে ওই ছাত্রদের কলেজের গেস্ট রুমে রাখা হয়। পরে তিন জনকে জলপাইগুড়ি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দু’জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
এদিকে এই ঘটনার পরই দ্বিতীয় বর্ষের হোস্টেল থাকা ১৮০জন ছাত্র আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিন ১-২ জন করে ছাত্র করোনা পজিটিভ হচ্ছেন৷ কেবলমাত্র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্ররাই পজিটিভ হচ্ছেন। কলেজের অধ্যক্ষ অমিতাভ রায় জানিয়েছেন, করোনার কারণে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের সমস্ত পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। আপাতত ছাত্রদের কথাই ভাবা হচ্ছে। প্রথম তিনটি বর্ষের ক্লাসই আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
জলপাইগুড়ি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ অমিতাভ রায় বলেন, ‘করোনার সংক্রমণের জেরে আমরা আপাতত ছাত্রদের কথাই ভাবছি । প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস আপাতত বন্ধ থাকবে। সমস্ত পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।’
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রিন্সিপাল ড: অমিতাভ রায় বলেন, ‘বুধবার থেকে বিষয়টি সম্পর্কে প্রথম আমি জানতে পারি যে, কলেজ হোস্টেলে কয়েকজন শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতেই দেখা যায় দ্বিতীয় বর্ষের কয়েকজন সংক্রামিত। তারা এখন সদর হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি। ওই ছাত্রদের পরিবারকেও খবর দেওয়া হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ডেপুটি সিএমএইচ জ্যোতিষ চন্দ্র দাস ও জনস্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ দপ্তরের উত্তরবঙ্গের ওএসডি সুশান্ত রায়ের সঙ্গেও কথা হয়েছে। ছাত্রদের বলা হয়েছে যাদের শারীরিক অসুস্থতা ধরা পড়বে তারা যেন ফিভার ক্লিনিকে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করায় ‘।